১০ মিনিটের জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজটিতে উঠতে পারেননি ভূমি
Published: 13th, June 2025 GMT
‘উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার কথা শুনে আমি সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছি। আমার শরীর কাঁপছে। আমি কথা বলতে পারছি না। যা ঘটেছে, তা শুনে আমার মন এখন একেবারেই শূন্য।’ কথাগুলো বলছিলেন ভূমি চৌহান।
লন্ডনে থাকেন স্বামীর সঙ্গে। দুই বছর পর এসেছেন ভারতে ছুটি কাটাতে। এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটটিতে গতকাল তাঁর লন্ডনে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।
রিপাবলিক টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমি চৌহান আহমেদাবাদের ফ্লাইটে থাকার কথা ছিল, কিন্তু যানজটে আটকা পড়ায় তিনি কয়েক মিনিটের জন্য উড়োজাহাজটিতে উঠতে পারেননি।
ফ্লাইটে উঠতে না পারায় বেলা দেড়টার দিকে ভূমি সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যান। বেলা ১টা ৩৮ মিনিটে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটটি উড্ডয়ন করে এবং কয়েক মিনিট পরেই বিমানবন্দরের কাছে একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পান ভূমি।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বেলা ১টা ৩৮ মিনিটে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে ভারতীয় এয়ারলাইনস এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজটি। ২৪২ জন আরোহী নিয়ে একটি ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে উড়োজাহাজটি। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় ২৪১ জনের বেশি নিহত হয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি