‘উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার কথা শুনে আমি সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছি। আমার শরীর কাঁপছে। আমি কথা বলতে পারছি না। যা ঘটেছে, তা শুনে আমার মন এখন একেবারেই শূন্য।’ কথাগুলো বলছিলেন ভূমি চৌহান।

লন্ডনে থাকেন স্বামীর সঙ্গে। দুই বছর পর এসেছেন ভারতে ছুটি কাটাতে। এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটটিতে গতকাল তাঁর লন্ডনে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।

রিপাবলিক টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমি চৌহান আহমেদাবাদের ফ্লাইটে থাকার কথা ছিল, কিন্তু যানজটে আটকা পড়ায় তিনি কয়েক মিনিটের জন্য উড়োজাহাজটিতে উঠতে পারেননি।

ফ্লাইটে উঠতে না পারায় বেলা দেড়টার দিকে ভূমি সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যান। বেলা ১টা ৩৮ মিনিটে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটটি উড্ডয়ন করে এবং কয়েক মিনিট পরেই বিমানবন্দরের কাছে একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পান ভূমি।

গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বেলা ১টা ৩৮ মিনিটে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে ভারতীয় এয়ারলাইনস এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজটি। ২৪২ জন আরোহী নিয়ে একটি ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে উড়োজাহাজটি। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় ২৪১ জনের বেশি নিহত হয়েছেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কয়েকদিনের তীব্র তাপপ্রবাহের পর ময়মনসিংহে স্বস্তির বৃষ্টি

টানা কয়েকদিনের তীব্র তাপপ্রবাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজল ময়মনসিংহ। শনিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টিতে জনজীবনে ফিরে এসেছে স্বস্তি, কমেছে অস্বস্তিকর উষ্ণতা। নগরের বিভিন্ন এলাকা ও বেশ কয়েকটি উপজেলায় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে।

শনিবার সকাল আটটা থেকেই ময়মনসিংহের আকাশ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে এবং শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। সকাল ৯টার পর থেকে দমকা হাওয়ার সঙ্গে শুরু হয় মুষলধারে বর্ষণ। টানা কয়েকদিনের অসহনীয় গরমে শিশু ও বৃদ্ধসহ সকলেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এই বৃষ্টি যেন সবার মনে শীতল পরশ বুলিয়ে দিয়েছে।

নগরের সানকিপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমান জানান, টানা কয়েকদিনের গরম শিশু বৃদ্ধ প্রত্যেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। আজকের বৃষ্টি একেবারে হৃদয় শীতল করেছে।

নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান সাজু বলেন, কয়েকদিন ঘর থেকে বের হওয়া যায়নি প্রকট রোদে। বৃষ্টি আসার পর সবকিছু ঠান্ডা হয়ে পড়েছে। মানুষের মধ্যে স্বস্তি লক্ষ্য করা গেছে। অনেকে বৃষ্টিতে ভিজে শীতল হাওয়া উপভোগ করছে।

অটোরিকশা চালক খালেকুজ্জামান বলেন, বৃষ্টিতে আমিও ভিজছি যাত্রীরাও ভিজছে, এটা আলাদা একটা আনন্দ। গরমের কারণে না কোন কিছু খাইয়ে না ঘুমিয়ে শান্তি ছিল না। বৃষ্টিই সকল শান্তির মূল।

তবে স্বস্তির পাশাপাশি বৃষ্টি কিছু ভোগান্তিও বয়ে এনেছে। নগরের বাঁশবাড়ি কলোনির বাসিন্দা আব্দুল মজিদ জানান, বৃষ্টিতে যেমন স্বস্তি ফিরেছে তেমন ভোগান্তিও বেড়েছে আমাদের। টানা মুষলধারের বৃষ্টিতে বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। রাস্তা তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি দ্রুত না কমলে ভোগান্তি আরও বাড়বে।

মুক্তাগাছা শহরের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয় এবং সকাল ১১টা বাজলেও বৃষ্টি পড়া বন্ধ হয়নি। তিনি মনে করেন, এটা মানুষের উপর আল্লাহর রহমত।

ময়মনসিংহ আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মো. মনিরুজ্জামান জানান, শনিবার সকাল ৯টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় বজ্রপাত হচ্ছে। 

তিনি আরও জানান, শুক্রবার ময়মনসিংহের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা বৃহস্পতিবার ছিল ৩৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ