অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক দেশে ইতিবাচক পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে: মাহমুদুর রহমান মান্না
Published: 13th, June 2025 GMT
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক দেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে বলে মনে করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
আজ শুক্রবার লন্ডনে ওই বৈঠক হওয়ার পরে প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন মান্না। তিনি বলেন, এত দিন নির্বাচনের সময়সীমা অযথা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এটার কোনো প্রয়োজন ছিল না। রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে বারবার বলা হলেও প্রধান উপদেষ্টা বিষয়টিকে আমলে নেয়নি।
‘রাজাকে রাজনীতি বুঝতে হয়’ উল্লেখ করে ডাকসুর সাবেক ভিপি মান্না বলেন, প্রধান উপদেষ্টা কেন পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন? তিনি অসহযোগিতার কথা বলেছিলেন। তাঁকে কে অসহযোগিতা করেছে? জামায়াত করেছে, নাকি এনসিপি করেছে? সুতরাং আরও আগে নির্বাচনের তারিখ স্পষ্ট করা হলে এসব বিড়ম্বনা তৈরি হতো না।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠককে পুরোপুরি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, তাঁদের মধ্যে গোপন কোনো বিষয় থাকলে, সেটা আমাদের জানার সুযোগ নেই। তবে বাস্তবতা হলো মানুষ ভোট দিতে চায়। তারা কাউকে না কাউকে ভোট দেবে। গণতন্ত্রে এর বিকল্প নেই। কাজেই পুরো কর্মযজ্ঞকে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করাই যথোপযুক্ত হবে।
মানুষের মধ্যে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে মান্না বলেন, সত্যিকারার্থে মানুষ এখন কিছু করতে চায়। এখন পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো গেলে দেশ উপকৃত হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’