Risingbd:
2025-07-31@07:25:03 GMT

সরগরম বাগেরহাটের মাছবাজার

Published: 14th, June 2025 GMT

সরগরম বাগেরহাটের মাছবাজার

দীর্ঘ ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ১১ জুন থেকে আবারও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে বঙ্গোপসাগরে। সেই সঙ্গে সরগরম হয়ে উঠেছে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ সামুদ্রিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বাগেরহাট শহরের কেবি বাজার। তবে শুরুর দিকে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে মাছ না পাওয়ায় কিছুটা হতাশ জেলে ও ব্যবসায়ীরা।

শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে বাগেরহাট শহরের দড়াটানা নদীর তীরে শহররক্ষা বাঁধসংলগ্ন কেবি বাজারে নিষেধাজ্ঞা পরবর্তি প্রথম মাছের চালান নিয়ে আসেন জেলেরা। সকাল থেকেই জমে ওঠে মাছের হাট। ট্রলারভর্তি মাছ নিয়ে জেলেরা ভিড় করছেন বাজার ঘাটে, চলছে পাইকারদের ডাকাডাকি, দরদাম আর বেচাকেনা।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পরই মাছ ধরা শুরু হয়েছে। মাছ ধরে আজ প্রথমদিনের মতো সাগর থেকে জেলেরা মাছ নিয়ে আসতে শুরু করেছেন। এদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই শুরু হয় বেচাকেনা। কোটি টাকার মাছ কেনাবেচা হয় প্রতিদিন এই বাজারে। 

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ইলিশ মাছ। ইলিশ ছাড়াও বাজারে উঠেছে কাউয়া, চেলা, ঢেলা চেলা, লইট্টা, ভোল, কঙ্কন, কইয়া ভোল, জাবা ভোল, মোচন ঘাগড়া, মেইদ, টেংড়া, রূপচাঁদা, বোতলমাছসহ প্রায় ৫০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ।

শুক্রবার বাজারে ইলিশের দর ছিল, ২০০-৩০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ৬০০-৮০০ টাকা, ৫০০-৮০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ১২০০-১৫০০ টাকা। ৯০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের প্রতি কেজি ২০০০-২৫০০ টাকা। 

এছাড়া রূপচাঁদা বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ১২০০ টাকায়, আর কঙ্কন, তুলারডাঁটি, ঢেলাচ্যালা, ভেটকি, লইট্টা, ছুড়ি, জাবা, বিড়ালজাবা প্রজাতির মাছ ১০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি বিদেশি হিমায়িত মাছও পাওয়া যাচ্ছে এই বাজারে।

মাছ কিনতে আসা ক্রেতা কবির হোসেন বলেন, ‘‘সমুদ্রের মাছ খেতে খুব ভালো লাগে। কোল্ড স্টোরেজের মাছ পছন্দ করি না, তাই আজকে তাজা মাছ কিনতে এসেছি।’’

মাছ বিক্রেতা মাসুম শেখ বলেন, ‘‘সমুদ্রের মাছ ছাড়া বাজার জমে না। এতদিন মাছ ধরা বন্ধ ছিল, তাই বিক্রি করতে পারিনি। এখন ভালো মাছ এসেছে, ভালো বিক্রি হচ্ছে। তবে মাছের সরবরাহ কম।’’

জেলে এবাদুল ইসলাম বলেন, ‘‘সাগরে গিয়ে খুব একটা মাছ পাইনি। যা পেয়েছি, তাতে হয়তো খরচই উঠবে না।’’

কেবি বাজার আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘‘অবরোধ শেষে আজ প্রথম ট্রলার এসেছে, মাছের পরিমাণ কম হলেও পাইকারদের উপস্থিতি বেশি। তাই দাম কিছুটা চড়া। তবে সামনে সরবরাহ বাড়লে দামও কমে আসবে।’’

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড.

মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘‘উপকূলীয় অঞ্চলের ৪৭৫ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের মধ্যে অনেকগুলোর প্রজনন মৌসুম এই সময়েই পড়ে। সেগুলোর বংশ বিস্তারের স্বার্থে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়ে থাকে। এতে সাগরে মাছের প্রাকৃতিক বংশবৃদ্ধি নির্বিঘ্ন হয়, যা সামনের সময়ে আরও বেশি মাছ আহরণে সহায়ক হবে।’’

প্রসঙ্গত, সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও মজুত বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার প্রতিবছর ২০ এপ্রিল থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের জন্য মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে এবার জেলেদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের সঙ্গে মিল রেখে সময় এগিয়ে এনে ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিনের জন্য তা কার্যকর করা হয়। এই সময়ে সব ধরনের সামুদ্রিক মাছ ধরা এবং গভীর সমুদ্রে ট্রলার চলাচল সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ছিল।

ঢাকা/শহিদুল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব গ রহ ট

এছাড়াও পড়ুন:

নারীর গুরুতর অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন বিজয়

দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা বিজয় সেতুপতির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন রম্য মোহন নামে এক নারী। এ অভিনেতার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেন তিনি। এ নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে চর্চা চলছে। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই দাপুটে অভিনেতা।  

বিজয় সেতুপতি একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। তাতে তিনি বলেন, “যারা আমাকে চেনেন, এমনকি অল্প হলেও চিনেন, তারা বিষয়টিকে হাস্যকর বলে মনে করবেন। আমি জানি আমি কে। এই ধরণের জঘন্য অভিযোগ আমাকে বিরক্ত করে না। আমার পরিবার, ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা বিরক্ত। আমি তাদের বলি, ‘এটা বাদ দাও।’ এটা পরিষ্কার এই নারী, প্রচারের আলোয় আসতে চাইছে; কয়েক মিনিটের খ্যাতি অর্জন করেছে, তাকে এটি পেতে দিন।” 

আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে বিজয় সেতুপতি বলেন, “সাইবার ক্রাইমে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছি। গত সাত বছর ধরে নানা গুঞ্জন সহ্য করেছি। এর কোনোটি আমাকে প্রভাবিত করেনি এবং কখনো করবেও না।” 

আরো পড়ুন:

বিয়ের কয়েক ঘণ্টা পরই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘোষণা অভিনেতার স্ত্রীর

আমাকে খারাপভাবে স্পর্শ করত, তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে জনি লিভারের কন্যা

রম্য মোহন নামে এক নারী তার মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বিজয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেন। তাতে তিনি লেখেন, “তেলেগু সিনেমায় নেশা-কাস্টিং কাউচের সংস্কৃতি মজার কোনো ব্যাপার নয়। আমি একটি মেয়েকে চিনি, যে এই ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ। দীর্ঘদিন বিজয় সেতুপতির হাতে ‘মানসিক ও শারীরিক শোষণের’ শিকার হয়েছেন। সেই তরুণী শেষ পর্যন্ত মানসিক বিপর্যয়ের শিকার হয়ে পুনর্বাসনকেন্দ্রে যেতে বাধ্য হন।”  

রম্যর অভিযোগ, “বিজয় সেতুপতি কলিউডের (তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি) তথাকথিত ‘গ্ল্যামার–সংস্কৃতি’র আড়ালে অশুভ এক বলয়ের অংশ, যেখানে ‘অডিশন’ কিংবা ‘পেশাগত সুযোগ’–এর নামে নারীদের ওপর অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করা হয়। তার ভাষায়, ‘সেতুপতির মতো শিল্পীরা শিল্পের স্বাভাবিক নিয়মের ছদ্মবেশে মেয়েদের কাছে ‘অনৈতিক সুবিধার’ বিনিময়ে অর্থের প্রস্তাব দিতেন।” যদিও পরবর্তীতে এ পোস্ট মুছে ফেলেন এই নারী। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ