Risingbd:
2025-11-03@17:40:14 GMT

সরগরম বাগেরহাটের মাছবাজার

Published: 14th, June 2025 GMT

সরগরম বাগেরহাটের মাছবাজার

দীর্ঘ ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ১১ জুন থেকে আবারও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে বঙ্গোপসাগরে। সেই সঙ্গে সরগরম হয়ে উঠেছে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ সামুদ্রিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বাগেরহাট শহরের কেবি বাজার। তবে শুরুর দিকে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে মাছ না পাওয়ায় কিছুটা হতাশ জেলে ও ব্যবসায়ীরা।

শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে বাগেরহাট শহরের দড়াটানা নদীর তীরে শহররক্ষা বাঁধসংলগ্ন কেবি বাজারে নিষেধাজ্ঞা পরবর্তি প্রথম মাছের চালান নিয়ে আসেন জেলেরা। সকাল থেকেই জমে ওঠে মাছের হাট। ট্রলারভর্তি মাছ নিয়ে জেলেরা ভিড় করছেন বাজার ঘাটে, চলছে পাইকারদের ডাকাডাকি, দরদাম আর বেচাকেনা।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পরই মাছ ধরা শুরু হয়েছে। মাছ ধরে আজ প্রথমদিনের মতো সাগর থেকে জেলেরা মাছ নিয়ে আসতে শুরু করেছেন। এদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই শুরু হয় বেচাকেনা। কোটি টাকার মাছ কেনাবেচা হয় প্রতিদিন এই বাজারে। 

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ইলিশ মাছ। ইলিশ ছাড়াও বাজারে উঠেছে কাউয়া, চেলা, ঢেলা চেলা, লইট্টা, ভোল, কঙ্কন, কইয়া ভোল, জাবা ভোল, মোচন ঘাগড়া, মেইদ, টেংড়া, রূপচাঁদা, বোতলমাছসহ প্রায় ৫০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ।

শুক্রবার বাজারে ইলিশের দর ছিল, ২০০-৩০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ৬০০-৮০০ টাকা, ৫০০-৮০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ১২০০-১৫০০ টাকা। ৯০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের প্রতি কেজি ২০০০-২৫০০ টাকা। 

এছাড়া রূপচাঁদা বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ১২০০ টাকায়, আর কঙ্কন, তুলারডাঁটি, ঢেলাচ্যালা, ভেটকি, লইট্টা, ছুড়ি, জাবা, বিড়ালজাবা প্রজাতির মাছ ১০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি বিদেশি হিমায়িত মাছও পাওয়া যাচ্ছে এই বাজারে।

মাছ কিনতে আসা ক্রেতা কবির হোসেন বলেন, ‘‘সমুদ্রের মাছ খেতে খুব ভালো লাগে। কোল্ড স্টোরেজের মাছ পছন্দ করি না, তাই আজকে তাজা মাছ কিনতে এসেছি।’’

মাছ বিক্রেতা মাসুম শেখ বলেন, ‘‘সমুদ্রের মাছ ছাড়া বাজার জমে না। এতদিন মাছ ধরা বন্ধ ছিল, তাই বিক্রি করতে পারিনি। এখন ভালো মাছ এসেছে, ভালো বিক্রি হচ্ছে। তবে মাছের সরবরাহ কম।’’

জেলে এবাদুল ইসলাম বলেন, ‘‘সাগরে গিয়ে খুব একটা মাছ পাইনি। যা পেয়েছি, তাতে হয়তো খরচই উঠবে না।’’

কেবি বাজার আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘‘অবরোধ শেষে আজ প্রথম ট্রলার এসেছে, মাছের পরিমাণ কম হলেও পাইকারদের উপস্থিতি বেশি। তাই দাম কিছুটা চড়া। তবে সামনে সরবরাহ বাড়লে দামও কমে আসবে।’’

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড.

মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘‘উপকূলীয় অঞ্চলের ৪৭৫ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের মধ্যে অনেকগুলোর প্রজনন মৌসুম এই সময়েই পড়ে। সেগুলোর বংশ বিস্তারের স্বার্থে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়ে থাকে। এতে সাগরে মাছের প্রাকৃতিক বংশবৃদ্ধি নির্বিঘ্ন হয়, যা সামনের সময়ে আরও বেশি মাছ আহরণে সহায়ক হবে।’’

প্রসঙ্গত, সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও মজুত বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার প্রতিবছর ২০ এপ্রিল থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের জন্য মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে এবার জেলেদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের সঙ্গে মিল রেখে সময় এগিয়ে এনে ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিনের জন্য তা কার্যকর করা হয়। এই সময়ে সব ধরনের সামুদ্রিক মাছ ধরা এবং গভীর সমুদ্রে ট্রলার চলাচল সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ছিল।

ঢাকা/শহিদুল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব গ রহ ট

এছাড়াও পড়ুন:

মনোনয়ন দৌড়ে এবারও হেরে গেলেন মনির খান

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনির খান— যার কণ্ঠে প্রেম, ব্যথা আর প্রার্থনার সুরে ভেসেছে একটি প্রজন্ম। তিনবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শিল্পী শুধু গানে নয়, রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মনির খান। ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন এই কণ্ঠশিল্পী। কিন্তু শেষপর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় জায়গা হয়নি তার। সেই আসনে দল মনোনয়ন দিয়েছে মেহেদী হাসান রনিকে।

আরো পড়ুন:

নির্বাচন: বিএনপির যে প্রার্থীদের সঙ্গে লড়বেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা

বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই তারকারা

মনোনয়ন না পেলেও মনির খান প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ইতিবাচকভাবে। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, “অভিনন্দন মেহেদী হাসান রনি, ঝিনাইদহ-৩-এ বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী। শুভকামনা রইল।”

শিল্পীর এই পোস্টে প্রশংসা করেছেন ভক্তরা। রাজনীতিতেও তার সংযম ও সৌজন্যতা তুলে ধরেছেন অনেকেই।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারকাদের মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে গুঞ্জন থাকলেও শেষপর্যন্ত বিএনপির ঘোষিত ২৩৭ আসনের প্রার্থী তালিকায় কোনো শিল্পী বা অভিনেতার নাম নেই। মনির খানের পাশাপাশি মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে বেশি আলোচিত ছিলেন নায়ক উজ্জ্বল ও হেলাল খান, কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা ও বেবী নাজনীন।

ঢাকা/রাহাত/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ