বেনাপোলের রঘুনাথপুর গ্রামে স্ত্রীকে হত্যার পর এক স্বামীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন। ঘাতক স্বামী রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মনিরুজ্জামান (৫২) ও তার স্ত্রী রেহেনা (৪৫)।

স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মনিরুজ্জামান ও স্ত্রী রেহানার মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল। সেই দ্বন্দ্বের জেরে মনিরুজ্জামান প্রথমে তার স্ত্রী রেহেনা খাতুনকে গলাচিপে হত্যা করে এবং পরে গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশকে খবর দেওয়ার পর পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে।

বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ রাসেল মিয়া বলেন, বেনাপোলের রঘুনাথপুর গ্রামে মাঠের মধ্য থেকে স্ত্রী রেহেনা খাতুন ও ঝুলন্ত অবস্থায় স্বামী মনিরুজ্জামানের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। স্থানীয়দের নিকট শুনে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছে। তাছাড়া অন্য কোনো বিষয় আছে কিনা তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: যশ র স ত র ক হত য মন র জ জ ম ন হত য র

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ে বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বরের বাবার মৃত্যু

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বিয়ে বাড়ির আলোকসজ্জায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন বরের বাবা বিষু পাল (৬৫)। বুধবার (৩০ জুলাই) উপজেলার গুনই মদনমুরত গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

স্থানীয়রা জানান, বিষু পালের বড় ছেলে বিজয় পালের বিয়ে ঠিক হয় ৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার)। সেই উপলক্ষে বাড়িতে আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়। বাড়ির একটি গ্রিলে অস্থায়ী বিদ্যুৎ লাইনের তার ঝুলছিল। যেখানে লিকেজ ছিল। সকালে অসাবধানতাবশত সেই গ্রিলে হাত দিলে বিষু পাল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্দার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

আরো পড়ুন:

কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু

বানিয়াচং থানার এসআই সজিব ঘোষ জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক। বিয়ের আনন্দময় পরিবেশ হঠাৎ করে বিষাদে পরিণত হয়েছে। বিকেলে বিষু পালের পরিবারের সদস্যরা বিনা ময়নাতদন্তে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদরে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

ঢাকা/মামুন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ