খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মাইনী নদীতে স্রোতে ভেসে গিয়ে আট বছরের এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে। তার নাম মো. আরিয়ান। সে উপজেলার কবাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মিলনপুর এলাকার মো. জাকির হোসেনের ছেলে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কবাখালী বাজার–সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নদীর পানিতে উজান থেকে ভেসে আসা লাকড়ি সংগ্রহের চেষ্টা করছিল আরিয়ান। এ সময় প্রবল স্রোতে সে ভেসে যায়। নদীতে তার খোঁজে ফায়ার সার্ভিসের তল্লাশি অভিযান চলছে। স্থানীয় কিছু বাসিন্দা ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও ওই শিশুকে উদ্ধারের জন্য কাজ করছে।

নদীতে শিশু নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি দীঘিনালা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত কুমার সাহা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে ওই শিশু নদীর স্রোতে ভেসে গেছে। তাকে উদ্ধারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ