র্যাব পরিচয়ে উত্তরায় ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা ছিনতাই
Published: 14th, June 2025 GMT
রাজধানীর উত্তরায় নগদ এজেন্টের কর্মচারিদের র্যাব পরিচয়ে গাড়িতে উঠিয়ে ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তাদের গায়ে র্যাবের জ্যাকেট ছিল। নিবার সকালে উত্তরা-১৩ নম্বর সেক্টরে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, নগদের স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউটর আব্দুল খালেক নয়ন উত্তরা-১৩ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের ৩৭ বাড়ির তিন তলায় থাকেন। বাসা থেকে আনুমানিক পাঁচশ' মিটার দূরে ১৩ নম্বর রোডে তার অফিস। ছিনতাই হওয়া টাকা তার বাসায় ছিল। শনিবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে টাকার ব্যাগ নিয়ে নয়নের অফিসের চার কর্মচারি লিয়াকত হোসেন, কাওসার আহমেদ, আব্দুর রহমান এবং মো.
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান সমকালকে বলেন, ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত গাড়ির নম্বর এবং সিসিক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ছিনতাইকারীদের গায়ে র্যাবের জ্যাকেট ছিল। র্যাব পরিচয়ে ছিনতাই করা হয়েছে। জড়িতদের শনাক্তের কাজ চলছে।
নগদের ডিস্ট্রিবিউটর আব্দুল খালেক নয়ন সমকালকে বলেন, ঈদের ছুটিতে ব্যাংক বন্ধ থাকায় টাকা জমা দেওয়া যায়নি। ছুটির মধ্যে ব্যবসার টাকা আমার বাসায় রাখা ছিল। শনিবার উত্তরার ইসলামী ব্যাংক শাখা বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা ছিল। আমি একটি কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আমার পার্টনার তারিকুজ্জামানও ছিলেন না। তাই ব্যাংকে এবং বুথে জমা দেওয়ার জন্য চার কর্মচারিকে দিয়ে ওই টাকা অফিসে পাঠানো হচ্ছিল। প্রথমে টাকা নিয়ে অফিসে রাখার কথা ছিল। তারা বাসা থেকে বের হওয়ার কয়েক মিনিট পর টাকা ছিনতাইয়ের খবর পাই। একজন কর্মচারি ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল।
ডিএমপরি উত্তরা বিভাগের পুলিশের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জানান, ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া চারজনকে থানায় নিয়ে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, ছুটির মধ্যে কোটি টাকার উপরে বহন করলেও তারা পুলিশের সহায়তা চাননি। এসব বিষয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মোটরসাইকেল দুটি ঘটনাস্থলে পরেছিল। পরে উদ্ধার করা হয়। তিনি জানান, এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ নত ই দ র ব ত তর ছ নত ই
এছাড়াও পড়ুন:
বার্ন ইনস্টিটিউটে লাইফ সাপোর্টে ১ জন, আইসিইউতে ৩ জন
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে ৩৩ জন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে তিনজন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) এবং একজন লাইফ সাপোর্টে আছেন।
সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন।
তিনি জানিয়েছেন, বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন মাইলস্টোনে দগ্ধ ৩৩ জনের মধ্যে ২৭ জনই শিশু। তাদের মধ্যে তিনজন সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। ওই তিনজনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। একটু কম গুরুতর ৯ জন সিভিআর ক্যাটাগরিতে আছে।
ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন আরো জানান, আজ সোমবার আরো তিনজনকে রিলিজ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে, আবহাওয়া খারাপ থাকায় তাদের ড্রেসিং দরকার মনে করে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। চলতি সপ্তাহে আরো কয়েকজনকে পর্যায়ক্রমে ছাড়পত্র দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
মাইলস্টোনে দগ্ধদের মধ্যে এখন পর্যন্ত জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৮ জন। মোট মৃত্যুর সংখ্যা জানাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।