দুটি আলাদা উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা, বেঁচে যাওয়া দুই যাত্রী বসেছিলেন ১১এ আসনে
Published: 14th, June 2025 GMT
দুটি আলাদা উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা, সময়ের ব্যবধান প্রায় ৩০ বছর—কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এই দুই দুর্ঘটনায় একটি অদ্ভূত মিল রয়েছে। দুই দুর্ঘটনায় দুজন যাত্রীই বসেছিলেন ১১এ আসনে। আর দুজনেই প্রাণে বেঁচে যান।
১৯৯৮ সালে থাইল্যান্ডে প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল, আর ২০২৫ সালে ভারতে ঘটে দ্বিতীয় দুর্ঘটনা। দুজনই ছিলেন প্রায় নিশ্চিত মৃত্যুর মুখোমুখি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেঁচে যান।
থাইল্যান্ডের অভিনেতা ও গায়ক জেমস রুয়াংসাক লইচুসাক জানতে পারেন, ভারতে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার একটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় একমাত্র যে ব্যক্তি বেঁচে যান, তাঁর আসন ছিল ১১এ। প্রায় ২৭ বছর আগে এক উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার সময় তিনি নিজে যে আসনটিতে বসেছিলেন সেটিও ছিল ১১এ।
১৯৯৮ সালে ৪৭ বছর বয়সী জেমস ছিলেন থাই এয়ারওয়েজের টিজি২৬১ ফ্লাইটে। ব্যাংকক থেকে উড্ডয়নের পর উড়োজাহাজটি দক্ষিণ থাইল্যান্ডের সুরাট থানি শহরে অবতরণের চেষ্টা করছিল। মাঝ–আকাশে গতি কমে গেলে উড়োজাহাজটি ভেঙে পড়ে। ১৪৬ যাত্রীর মধ্যে ১০১ জনই নিহত হন। জেমসসহ বাকি আরোহীরা প্রাণে বেঁচে যান। তখন তিনি বসেছিলেন ১১এ আসনে।
সম্প্রতি ভারতে ঘটে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট এআই–১৭১ ফ্লাইট দুর্ঘটনায় একজন মাত্র আরোহী বেঁচে যান। তিনি হলেন ৪০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক বিষ্ণু কুমার রমেশ। আশ্চর্যভাবে তিনিও ছিলেন ১১এ আসনে। এই মিল দেখে জেমস ফেসবুকে লেখেন—‘ভারতে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া এক যাত্রী—তিনি আমার মতোই ১১এ আসনে ছিলেন।’
তবে দুই দুর্ঘটনার এই মিলটি কেবল কাকতালীয়। থাই এয়ারওয়েজ দুর্ঘটনায় একাধিক আরোহী বেঁচে যান। কিন্তু এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনায় শুধু একজনই বেঁচে যান।
এ ছাড়া দুটি উড়োজাহাজই আলাদা মডেল ও আলাদা প্রতিষ্ঠানের ছিল। থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইটটি ছিল এয়ারবাস এ৩১০। আর এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজটি ছিল বোয়িং৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। ফলে ১১এ আসনের গঠন বা অবস্থানও দুই উড়োজাহাজে ভিন্ন হতে পারে।
এয়ার ইন্ডিয়া এআই–১৭১ ফ্লাইটটি ১২ জুন ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই এটি একটি মেডিকেল কলেজের হোস্টেল ভবনে বিধ্বস্ত হয়। এ সময় উড়োজাহাজে যাত্রী ও ক্রু মিলিয়ে মোট ২৪২ আরোহী ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বজয়ের পর মার্করাম বললেন, এত দামি রান কখনো করিনি
কেশব মহারাজ কথাই বলতে পারছিলেন না ঠিকঠাক। প্রথা ভেঙে তাঁকে জড়িয়ে ধরেছিলেন সাক্ষাৎকার নিতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ। মহারাজের কণ্ঠ থেমে যাচ্ছিল আনন্দাশ্রুতে। ফাঁকে ফাঁকে তিনি যা বললেন, তাতে কৃতজ্ঞতা থাকল সমর্থকদের জন্য, ‘এটা বিশেষ, এখানে যাঁরা এসেছেন ও যাঁরা দেশে আছেন—তাঁদের জন্য ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরতে পারা সম্মানের। গত পাঁচ দিন যে একতা ছিল, এটাই আমাদের দেশ। এখানে যাঁরা এসেছেন, সবার কাছে আমরা ভীষণ কৃতজ্ঞ।’
শুধু তো আর মহারাজ নন। দক্ষিণ আফ্রিকার যাঁকেই পাওয়া গেল, যখন যিনিই কথা বললেন—সবারই কৃতজ্ঞতা দর্শকদের প্রতি। তা না হয়ে অবশ্য কারণও নেই—১৯৯৮ সালের পর এবারই প্রথম আইসিসির কোনো শিরোপা জিতেছেন তাঁরা, জিতেছেন প্রথম ‘বিশ্বকাপ’।
১৯৯৮ সালে ঢাকায় মিনি বিশ্বকাপ জয়ের পর বৈশ্বিক আসরে ১১ সেমিফাইনাল আর ১ ফাইনালে হারের পর এবার দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই জয়ের পথেও কম কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়নি। প্রথম ইনিংসে তারা পিছিয়ে গিয়েছিল ৭৪ রানে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতল দলটি।
শেষ দিকে ড্রেসিংরুমের অবস্থা কেমন ছিল, তার একটা ধারণা মিলবে মার্কো ইয়ানসেনের কথায়, ‘বসে বসে প্রার্থনা করছিলাম, আমরা ভাগ্যবান যে কাজটা ঠিকঠাক করতে পেরেছি। ড্রেসিংরুমে সবাই অনেক নার্ভাস ছিল। অনেকে চুপ করে বসেছিল, কিন্তু আমাদের দর্শকেরা প্রতিটি রানের জন্য চিৎকার করেছেন, এর চেয়ে বেশি কিছু চাওয়ার নেই।’
ট্রফি হাতে উদযাপনে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা