ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিরসনে সৌদি যুবরাজকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ফোন
Published: 14th, June 2025 GMT
ইরানে ইসরায়েলের হামলার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে শুরু হওয়া উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য। আজ শনিবার ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে কথা বলেছেন। এই ফোনালাপে মধ্যপ্রাচ্যের সংকট নিয়ে আলোচনা করেছেন এই দুই নেতা। খবর আল জাজিরার
প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র জানান, উভয় নেতা ‘গভীর উদ্বেগজনক পরিস্থিতি’ নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং উত্তেজনা প্রশমনের প্রয়োজনীয়তার ওপর একমত হয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাজ্য আগামী দিনে কূটনৈতিক সমাধানে মিত্রদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে।
এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলায় অঞ্চলজুড়ে নতুন করে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’