কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়া ইরানে যুক্তরাষ্ট্রকে ঠেকাতে বিল আনছেন বার্নি স্যান্ডার্স
Published: 15th, June 2025 GMT
ডেমোক্র্যাট দলীয় মার্কিন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স গতকাল শনিবার ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি একটি বিল আনতে যাচ্ছেন, যাতে বলা হয়েছে, কংগ্রেসের স্পষ্ট অনুমতি ছাড়া ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যেন কোনো সামরিক অভিযান চালাতে না পারে। সেই উদ্দেশ্যে ফেডারেল সরকারের অর্থ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে।
বার্তা সংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্যান্ডার্স সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’–এ এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের যুক্তরাষ্ট্রকে নেতানিয়াহুর অবৈধ ইরান যুদ্ধের ফাঁদে ফেলা যাবে না।’
বার্নি আরও বলেন, ‘আমি এমন একটি আইন আনতে যাচ্ছি, যাতে কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া ইরানে বা ইরানের বিরুদ্ধে কোনো সামরিক শক্তি ব্যবহারে ফেডারেল তহবিল ব্যবহার করা যাবে না। তবে আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকবে।’
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক নীতির কঠোর সমালোচক সিনেটর স্যান্ডার্স। গত শুক্রবারও নেতানিয়াহুর একতরফা ইরান হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এতে করে পুরো অঞ্চলে বড় যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে।
স্যান্ডার্সের বিল উত্থাপনের এই ঘোষণার পেছনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান-ইসরায়েল সংঘাত ঘিরে ওয়াশিংটনে বাড়তে থাকা উদ্বেগ।
গত শুক্রবার ভোররাতে ইসরায়েল ইরানের রাজধানী তেহরানসহ আটটি শহরে বড় আকারের বিমান হামলা চালায়। লক্ষ্য ছিল পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনা এবং ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানা। এতে ইরানের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণুবিজ্ঞানীরা নিহত হন।
সেই রাতেই ইরান ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালায়। প্রথমে প্রায় ১০০ ড্রোন ছোড়ে এবং পরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
ইরানের দাবি, ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ২০ শিশুসহ অন্তত ৮০ জন নিহত হয়েছেন ও ৩২০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। শনিবারও হামলা অব্যাহত ছিল।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’