ফুলকুমার নদে মাছ ধরতে গিয়ে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
Published: 15th, June 2025 GMT
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তারা হলো ইব্রাহীম আলী (৮) ও তাবাসসুম (৯)। তারা সম্পর্কে মামাতো–ফুপাতো ভাই-বোন বলে জানা গেছে।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম রায়গঞ্জ বালাবাড়ী এলাকার ফুলকুমার নদে এ ঘটনা ঘটনা। শিশু ইব্রাহীম আলী ওই এলাকার আজিজুর রহমানের ছেলে এবং তাবাসসুম আবদুর রহমানের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে ইব্রাহীম, তাবাসসুম ও স্থানীয় বাসিন্দা আল-আমিনের ছেলে মাহাবুর রহমানসহ তিন শিশু মিলে বাড়ির পাশের ফুলকুমার নদে ছোট জাল নিয়ে মাছ ধরতে যায়। এ সময় নদের খালে পড়ে যায় তারা। আশপাশের লোকজন টের পেয়ে শিশু মাহাবুর রহমানকে (১০) উদ্ধার করতে পারলেও ইব্রাহীম ও তাবাসসুম নিখোঁজ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে শিশু দুটির লাশ উদ্ধার করে।
রায়গঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান বলেন, ‘আমি সরেজমিন দেখে এসেছি। তিনটি শিশু একসঙ্গে ফুলকুমার নদে মাছ ধরতে নেমে পানিতে ডুবে যায়। এর মধ্যে একজনকে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন। কিন্তু পরে অন্য দুজনকে উদ্ধার করলেও তাদের বাঁচানো যায়নি। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজা বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আছেন। সরেজমিন তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র রহম ন ম ছ ধরত ল কজন
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’