শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বর থেকে হ্যান্ডকাফসহ পালিয়ে যাওয়া দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার (১৫ জুন) বিকেল ৪টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে, দুপুর ১টার দিকে আদালত চত্বর থেকে তারা পালিয়ে যান।

আসামিরা হলেন- জাজিরা উপজেলার পদ্মা দক্ষিণ এলাকার হারুন মাদবরের ছেলে সুরুজ মাদবর ও একই এলাকার মৃত কুদ্দুস শেখের ছেলে দুলাল শেখ।

আরো পড়ুন:

সাবেক ওসি হাসান আল মামুন কারাগারে 

বাগেরহাটে বিএনপির সম্মেলনে ২ পক্ষের সংঘর্ষ

পুলিশ জানায়, মাদক মামলায় সুরুজ মাদবর ও দুলাল শেখকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। রবিবার দুপুরে শুনানির জন্য তাদের আদালতে নিয়ে আসা হয়। শুনানি শেষে হাজতখানায় নেওয়ার পথে হ্যান্ডকাফসহ তারা পালিয়ে যায়। পরে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘পুলিশ কাস্টরি থেকে মাদক মামলার দুই আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একইসঙ্গে দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের গাফিলতির প্রমাণ মিললে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/আকাশ/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩ জনকে আইনি নোটিশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে নিজের সিট ফিরে পাওয়াসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য, প্রক্টর ও হলটির প্রাধ্যক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।

ওই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আলোচিত ভিপি পদপ্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল। 

আরো পড়ুন:

রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উত্তাল রাতের ক্যাম্পাস

চাকসু: ৩ পদ শূন্য রেখে বামপন্থিদের ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন (মুন্সী বেল্লাল) স্বাক্ষরিত এক আইনি নোটিশে তিনি ঢাবি প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানান।

জালাল আহমদ অভিযোগ করে জানান, হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের মদদে তার ওপর মব হামলাও চালানো হয়। কিন্তু তদন্ত ছাড়াই হল প্রাধ্যক্ষ তাকে বহিষ্কার করেন এবং প্রশাসন তার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে।

এর আগে, হলের রুমমেটকে মারধর এবং ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন এবং ২৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন মঞ্জুর করলে কারাগার থেকে মুক্ত হন জালাল।

ওই শিক্ষার্থীর দাবিগুলো হলো— হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা; অবৈধভাবে বাতিল হওয়া তার বৈধ সিট ফেরত দেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্ছেদ করা।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ