বরফে ঢাকা মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকায় বিরল প্রজাতির অ্যান্টার্কটিক গোনেট স্কুইডের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এবারই প্রথম জীবিত অবস্থায় বিজ্ঞানীদের চোখে ধরা পড়েছে লাল স্কুইডটি। অ্যান্টার্কটিক গোনেট স্কুইডের খোঁজ পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত বিজ্ঞানীরা। অধরা সেফালোপড প্রজাতির এই প্রাণী কেবল অ্যান্টার্কটিকার গভীর সমুদ্রে দেখা যায়।

স্মিট ওশান ইনস্টিটিউটের আরভি ফ্যালকরে চড়ে সমুদ্রের গভীরে এই প্রাণীর খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এ বিষয়ে ইনস্টিটিউটো ডি ডাইভারসিডাড ওয়াই ইকোলজিয়া অ্যানিমালের বিজ্ঞানী ম্যানুয়েল নোভিলো বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকেল সমুদ্রের পাওয়েল বেসিনে নিয়ে যাওয়া। সমুদ্রের প্রায় ৯ হাজার ৮০০ ফুট গভীরে অবস্থিত এই এলাকা মূলত অনাবিষ্কৃত বিশাল সমভূমি। সমুদ্রের বরফের কারণে পরে জাহাজ পাঠানোর পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়। এরপর পাওয়েল বেসিনের বাইরের প্রান্তে একটি নতুন স্থান বেছে নেওয়া হয়। সেখানেই ভিন্ন ধরনের এই স্কুইডের দেখা পাওয়া গেছে। এই স্কুইড আগে কখনো জীবিত দেখা যায়নি।’

বিজ্ঞানীরা নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির সেফালোপড ইকোলজি অ্যান্ড সিস্টেমেটিকস ল্যাবের প্রধান ক্যাট বলস্ট্যাডের কাছে নমুনার তথ্য পাঠান। তিনি নিশ্চিত করে জানান, এটি একটি অ্যান্টার্কটিক গোনেট স্কুইড। তিনি বলেন, ‘আমার জানামতে, এটি বিশ্বে এমন প্রাণীর প্রথম লাইভ ফুটেজ।’

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের তথ্যমতে, বিজ্ঞানীরা কয়েক মিনিট ধরে প্রাণীটিকে অনুসরণ করেন। এরপর লেজার ব্যবহার করে স্কুইডের আকার পরিমাপ করা হয়। পরে স্কুইডটি অন্ধকারে চলে যায়। আর তাই স্কুইডটির লিঙ্গ বা বয়স নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে বিজ্ঞানী বলস্ট্যাড জানিয়েছেন, স্কুইডটিতে বৃহৎ আকারের হুক রয়েছে। এসব হুক সম্ভবত শিকারের সময় ব্যবহার করা হয়।

সূত্র: এনডিটিভি ও লাইভ সায়েন্স

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার

সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।

কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।

নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।

জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’

কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘দূরে থেকেও আমরা কাছে, এটাই বাস্তব’
  • বিলাসবহুল প্রমোদতরিতে খুন, এরপর...
  • ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
  • শাহরুখকে ‘কুৎসিত’ বলেছিলেন হেমা মালিনী, এরপর...
  • প্রথম দেখায় প্রেম নাকি ঝগড়া? আসছে ইয়াশ–তটিনীর ‘তোমার জন্য মন’
  • জেমিনিতে যুক্ত হলো গুগল স্লাইডস তৈরির সুবিধা, করবেন যেভাবে
  • নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
  • রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
  • নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক
  • বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার