ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চুলার ধোঁয়া ঘরে ঢোকায় বিতণ্ডা, স্বজনদের হামলায় যুবক খুন
Published: 16th, June 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাটির চুলায় রান্না করার সময় ঘরের মধ্যে ধোঁয়া যাওয়া নিয়ে বিতণ্ডার জেরে বড় ভাই ও ভাতিজার হামলায় আহত মনির হোসেন (৩৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (১৫ জুন) রাতে জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে, দুপুরে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের উড়শিউড়ার নন্দ দিঘিরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মনির হোসেন উড়শিউড়ার নন্দ দিঘিরপাড় গ্রামের মৃত খুরশিদ মিয়ার ছেলে। মনির পেশার দিনমজুর ছিলেন। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি চতুর্থ ছিলেন। তার স্ত্রী এবং সাত ও দেড় বছর বয়সী দুটি ছেলে আছে।
আরো পড়ুন:
মোবাইল চুরির সন্দেহে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩
সুনামগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নিহত
নিহতের স্ত্রী অভিযোগ করেন, রবিবার দুপুরে মনিরের ঘরের সামনে তার বড় ভাই বাবুল মিয়ার স্ত্রী দুবেলা বেগম মাটির চুলায় রান্না বসান। এসময় মাটির চুলার ধোঁয়া মনিরের ঘরে ঢুকে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এ নিয়ে ভাবির সঙ্গে মনিরের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে বড় ভাই বাবুল ও ভাতিজা শাওন মনিরকে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে লাঠি ও ইট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। এতে মনির গুরুতর আহত হন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে শহরের বেসরকারি সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মনিরের মৃত্যু হয়।
এদিকে, মনিরের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছেন।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম রকিবুর রেজা বলেন, ‘‘পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলছে।’’
ঢাকা/পলাশ/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য মন র র
এছাড়াও পড়ুন:
বাড়ির পাশে পানিতে ভাসছিল শাড়ি, খুঁজে পাওয়া গেল বৃদ্ধার লাশ
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নে পানিতে ডুবে আশালতা দাস (৭৫) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে বাড়ির পেছনে জলমগ্ন জমি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি মধ্য বাছিরপুর গ্রামের বাসিন্দা নির্মল দাসের স্ত্রী।
স্বজনদের বরাতে জানা গেছে, সকালে আশালতা ঘরে না থাকায় তাঁকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির পেছনের জলমগ্ন জমিতে তাঁর শাড়ি ভাসতে দেখে সন্দেহ হয়। পরে সেখানে খোঁজ করে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।
পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ওই এলাকার নিচু জায়গাগুলো এখনো পানিতে ডুবে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, আশালতা অসাবধানতাবশত সেখানে পড়ে গিয়ে ডুবে যান।
জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া বলেন, স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।