যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি কয়েক দফা থেমেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে নগরের বুধপাড়া এলাকায় ট্রেনটি থেমে যায় এবং প্রায় ১৫ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকে। এরপর আরও কয়েকবার থেমে হরিয়ান স্টেশনে পৌঁছায় ট্রেনটি।

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির কারণে ট্রেনটির হুইল স্লিপ করছিল। এ কারণে ট্রেনটি ধীরে চলেছে এবং মাঝে মাঝে থেমেছে। বর্তমানে ট্রেনটি ঈশ্বরদী স্টেশনের কাছাকাছি রয়েছে। সেখানে চাকায় বালু দেওয়া হবে, যাতে চাকা স্লিপ না করে।

এই পরিস্থিতির কারণে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১৮ মিনিট দেরিতে ছেড়েছে বলে জানান শহিদুল ইসলাম। হরিয়ান স্টেশনে মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি থেমে থাকায় বনলতাকে ক্রসিংয়ের সুযোগ দেওয়া হয়। তবে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ে সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।

স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, মধুমতি এক্সপ্রেস রাজশাহী থেকে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পথে বিভিন্ন স্থানে থেমে ট্রেনটি প্রায় ৪০ মিনিট সময় নষ্ট করেছে।

নগরের বুধপাড়া এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ট্রেনটি কয়েকবার থেমে যায়। তারা ভেবেছিলেন রেললাইনে সমস্যা হয়েছে। তবে পরবর্তী কোনো ট্রেন ওই এলাকায় থামেনি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট র নট

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ