দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে নিজ ঘর থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কুশদহ ইউনিয়নের বাগাডুগি ভবানীপুর গ্রাম থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।

ওই গৃহবধূর নাম কৃষ্ণা রানী (২৬)। তিনি ওই গ্রামের দিলীপ কুমারের স্ত্রী। এ দম্পতির দুটি সন্তান। প্রায় ১০ বছর আগে তাঁর বিয়ে হয় জয়পুরহাটের পাঁচবিবির দিলীপ কুমারের সঙ্গে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কৃষ্ণা রানী পাঁচ-ছয় বছর ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁর আট বছর বয়সী একটি প্রতিবন্ধী মেয়ে রয়েছে। দেড় মাস ধরে তিনি দুই সন্তানসহ মায়ের বাড়িতে ছিলেন।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মজিবর রহমান বলেন, কৃষ্ণা রানী দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন এবং প্রায়ই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন। সম্প্রতি তাঁর স্বামী শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। আজ ভোরে কৃষ্ণা রানীর মা ও স্বামী আম কুড়াতে বাড়ির বাইরে যান। সকাল ৬টার দিকে মা বাড়িতে ফিরে এসে শয়নকক্ষে মেয়েকে আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে স্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল মতিন বলেন, সকালে শয়নকক্ষ থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ হবধ র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ