সৈয়দ মারুফকে প্রত্যাহার, ঢাকায় পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনার ইমরান হায়দার
Published: 17th, June 2025 GMT
ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ আর বাংলাদেশে ফিরছেন না। ঢাকায় দায়িত্ব পালনের প্রায় দেড় বছরের মাথায় তাঁকে ইসলামাবাদে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঢাকায় তাঁর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মিয়ানমারে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার।
ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশন এরই মধ্যে ইমরান হায়দারের নিয়োগের বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি স্পোকসম্যানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনার হিসেবে ইমরান হায়দারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের জং পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার সৈয়দ মারুফকে বাংলাদেশে তাঁর কূটনৈতিক দায়িত্বের সমাপ্তি ঘটিয়ে পাকিস্তানে ফেরত আনা হয়েছে। তিনি বর্তমানে পাকিস্তানে আছেন।
সৈয়দ আহমেদ মারুফ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশে পাকিস্তানের হাইকমিশনার হিসেবে যোগ দেন। গত মে মাসে হঠাৎ করেই দুই সপ্তাহের ছুটিতে ঢাকা ছাড়েন তিনি। তখন এ নিয়ে নানা গুঞ্জন তৈরি হয়।
বাংলাদেশে পাকিস্তানের সদ্য সাবেক হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইমর ন হ য দ র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’