এশিয়া কাপ আর্চারির দ্বিতীয় লেগে পুরুষদের রিকার্ভ ব্যক্তিগত ইভেন্টের ফাইনালে উঠেছেন আব্দুর রহমান আলিফ। আজ সিঙ্গাপুরে এই ইভেন্টের সেমিফাইনালে চায়নিজ তাইপের চেন পিন-আনকে ৬-৪ সেট পয়েন্টে হারান ১৯ বছর বয়সী বাংলাদেশি এই আর্চার। শুক্রবার সোনার লড়াইয়ে জাপানের গাকুতো মিয়াটার মুখোমুখি হবেন আলিফ। সেখানে হারলেও পদক নিশ্চিত তাঁর।

‎রিকার্ভ পুরুষদের বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৭৯ নম্বরে আছেন আলিফ। দ্বিতীয় কোনো বাংলাদেশি আর্চার হিসেবে তিনি এশিয়ান পর্যায়ে সোনার জন্য লড়বেন। এর আগে রোমান সানা এশিয়া কাপ আর্চারির লেগ-৩–এ বাংলাদেশের হয়ে সোনা জিতেছিলেন ২০১৯ সালে।

‎গতকাল ‘বাই’ পেয়ে এলিমিনেশন রাউন্ড শুরু করেছিলেন আলিফ। এরপর চীনের আলিনকে ৬-২ সেট পয়েন্টে হারিয়ে নাম লেখান শেষ ৩২-এ। সেখান থেকে পরবর্তী ধাপে মালয়েশিয়ার মুহাম্মাদ শাফিককে ৬-৪ ব্যবধানে হারিয়ে এবং চায়নিজ তাইপের লি কাই-ইয়েনের সঙ্গে ৭-৩ ব্যবধানে জেতায় পেয়ে যান সেমিফাইনালের টিকিট।

আর্চার দম্পতি রোমান-দিয়া কি যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে পাড়ি জমালেন

ফাইনালে ওঠার পথে আবার চায়নিজ তাইপের আরেক প্রতিপক্ষ চেন পিন-আনকে পেয়েছেন। সেই বাধাও দারুণভাবে উতরে যান আলিফ। প্রথম সেট জিতে নেন ২৬-২৫ পয়েন্টে। যদিও পরের দুই সেট জিতে ঘুরে দাঁড়ান চেন পিন। আলিফ হেরে যান ২৮-২৭, ২৮-২৭ ব্যবধানে।

দারুণভাবে ঘুরিয়ে দাঁড়িয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন আব্দুর রহমান আলিফ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ ইন ল ন আল ফ আর চ র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ