সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছানো ঐতিহাসিকভাবে উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।

আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মধ্যে দুপুরের বিরতিতে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নির্মাণে জবাবদিহি প্রশ্নে এবং রাজনৈতিক দলের ভেতরেও গণতন্ত্র চর্চার প্রশ্নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গা। সেখানে আজকে একটা ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে আজকে একটা উল্লেখযোগ্য দিন। যে ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কার হলে দুটি ব্যতিক্রম বাদে অর্থাৎ সংসদে সরকার গঠনে আস্থা ভোট ও বাজেট—এ দুটো বিষয় ব্যতিরেকে বাকি সব প্রশ্নে সবাই ভোট দিতে পারবেন। এ বিষয় একটা ঐকমত্য তৈরি হয়েছে।’

এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের অন্যতম সদস্য তাসলিমা আকতার উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় সংসদের নারী আসনের বিষয়ে তাসলিমা আকতার বলেন, গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে বৈষম্যহীন ও ন্যায়ের সমাজ প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন ১০০ করার কথা বলেছে, সেটির সঙ্গে তাঁরা একমত। এ বিষয়ে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ত ক ঐকমত য

এছাড়াও পড়ুন:

সংস্কার বাস্তবায়ন করবে নির্বাচিত সরকার, কোনো অজুহাতে নির্বাচন বিলম্বিত করা যাবে না: সিপিবি

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, ‘ঐকমত্য কমিশন ও অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, সংস্কার নিয়ে যত কথাই বলি না কেন, সংস্কার বিষয়ে হওয়া ঐকমত্য বাস্তবায়ন করতে হবে আগামীতে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে। কোনো অজুহাতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বিলম্ব করা যাবে না।’

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার বিরতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের পক্ষ থেকে এ কথা বলেন রুহিন হোসেন। এ সময় বাম জোটের অন্য শরিক দলের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

রুহিন হোসেন বলেন, অন্য কোনো নির্বাচনের কথা এনে চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের অন্যতম যে আকাঙ্ক্ষা, গণতন্ত্রের পথে হাঁটা, সেটাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। গণহত্যার বিচার ও সংস্কার করেই এ বছরে নির্বাচন করা সম্ভব। তাঁরা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন চান।

বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত উল্লেখ করে রুহিন হোসেন বলেন, ‘সংসদকে প্রতিনিধিত্বমূলক করতে হলে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি চালু করতে হবে। স্বাধীনতার পর থেকে আমরা এ বিষয়ে কথা বলে আসছি। সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন নিশ্চিত করতে হবে।’

নির্বাচনকে ভয়, অর্থমুক্ত এবং আঞ্চলিক খেলা থেকে মুক্ত করার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এখনো কোনো আলোচনা তৈরি করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক।

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সমালোচনা করে রুহিন হোসেন বলেন, ‘এই অনুচ্ছেদের অধীন এমন কতগুলো বিষয় আছে, যার মাধ্যমে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না। আমরা বরাবরই এ অনুচ্ছেদের বিষয়ে নতুন করে ভাবার কথা বলে আসছি। আজকের আলোচনায় ৭০ অনুচ্ছেদের অধীন আস্থাভোট এবং অর্থবিল যুক্ত করার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। সংসদ সদস্যরা অন্যান্য বিষয়ে নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারবেন। এ উদ্যোগের সঙ্গে আমরাও একমত।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে রুহিন হোসেন বলেন, কমিশন সংসদে নারীদের আসন বাড়ানোর বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এটা নিয়ে স্বাধীনতার পর থেকে বাম দলগুলো আন্দোলন করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শুভস্য শীঘ্রম
  • সংস্কার বাস্তবায়ন করবে নির্বাচিত সরকার, কোনো অজুহাতে নির্বাচন বিলম্বিত করা যাবে না: সিপিবি
  • দুই কমিশন নারী আসন নিয়ে চাপাচাপি করছে: ইসলামী আন্দোলন
  • দুটি বিষয় বাদে সংসদে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবেন এমপিরা
  • সংস্কার নিয়ে আমাদের প্রস্তাবের বাইরে বহু প্রস্তাবে একমত হয়েছি: সালাউদ্দিন আহমদ
  • প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পদ্ধতি পরিবর্তনে দুটি দল ছাড়া অন্যরা একমত: আলী রীয়াজ
  • আসনের সংখ্যানুপাতে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পদ বিরোধী দল পাওয়ার বিষয়ে সবাই একমত: সালাউদ্দিন আহমদ
  • জুলাই মাসের মধ্যে জাতীয় সনদ তৈরি করতে পারব : আলী রীয়াজ
  • ফেব্রুয়ারিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে সংস্কারের তাগিদ