বাংলাদেশের ইতিহাসে আজকে একটা উল্লেখযোগ্য দিন: জোনায়েদ সাকি
Published: 17th, June 2025 GMT
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছানো ঐতিহাসিকভাবে উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মধ্যে দুপুরের বিরতিতে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নির্মাণে জবাবদিহি প্রশ্নে এবং রাজনৈতিক দলের ভেতরেও গণতন্ত্র চর্চার প্রশ্নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গা। সেখানে আজকে একটা ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে আজকে একটা উল্লেখযোগ্য দিন। যে ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কার হলে দুটি ব্যতিক্রম বাদে অর্থাৎ সংসদে সরকার গঠনে আস্থা ভোট ও বাজেট—এ দুটো বিষয় ব্যতিরেকে বাকি সব প্রশ্নে সবাই ভোট দিতে পারবেন। এ বিষয় একটা ঐকমত্য তৈরি হয়েছে।’
এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের অন্যতম সদস্য তাসলিমা আকতার উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংসদের নারী আসনের বিষয়ে তাসলিমা আকতার বলেন, গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে বৈষম্যহীন ও ন্যায়ের সমাজ প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন ১০০ করার কথা বলেছে, সেটির সঙ্গে তাঁরা একমত। এ বিষয়ে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঐকমত্য কমিশন হাজির করেছে অনৈক্যের দলিল: বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন
ঐকমত্য কমিশনের কাজ ঐকমত্য তৈরি করা হলেও তারা আনুষ্ঠানিকভাবে অনৈক্যের দলিল হাজির করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন।
জহির উদ্দিন বলেছেন, ‘যতটুকু ঐক্য নিশ্চিত করা যায়, ততটুকুই ঐকমত্য কমিশনের কাজ। বাকিটা ঐক্যের চেষ্টার জন্য রেখে দিতে হবে।…কিন্তু তা না করে যখন এ রকমভাবে হাজির করা হচ্ছে সিদ্ধান্তের নামে, তখন মূলত বিরোধে লিপ্ত হওয়ার জন্য একটা পরোক্ষ আহ্বান এবং একটা বিরোধের এজেন্ডাকে কিন্তু হাজির করা হয়।’
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘পলিটিকস ল্যাব: পাবলিক ডায়ালগ’ শীর্ষক সংলাপে এ কথা বলেন জহির উদ্দিন। সংলাপের আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে হস্তান্তরের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে তা নিয়ে মতভেদ দেখা দেয়। বিএনপি অভিযোগ তুলেছে, তাদের আপত্তির বিষয়গুলো রাখা হয়নি সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ায়। আলোচনায় আসেনি, এমন কিছুও যুক্ত করা হয়েছে।
সংলাপে জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনই জাতির সামনে জানাল যে ঐক্য নাই। ঐকমত্যের কাজই হবে যতটুকু ঐক্য আছে, সেটাকে উত্তোলন করা, যতটুকু নাই ততটুকুকে জানিয়ে রাখা এর চাইতে বেশি কোনো কাজ নাই। কমিশন শব্দটার মধ্যেই তো রয়েছে যে তারা অথরিটি নয়।’
জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা থেকে যদি প্রকৃত অর্থে সংস্কারই উদ্দেশ্য হয়, তাহলে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি মেনে চলার ওপর জোর দেন তিনি।