ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: যুদ্ধবিরতির চেয়ে দ্বন্দ্বের ‘সত্যিকারের অবসান’ চান ট্রাম্প
Published: 17th, June 2025 GMT
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতের ‘সত্যিকারের অবসান’ চান বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি বলেছেন, তিনি সংঘাতের ‘সত্যিকারের অবসান’ চান—যা অস্ত্রবিরতির চেয়েও কার্যকর। তবে তিনি এটিও স্বীকার করেছেন যে আলোচনার প্রচেষ্টা পুরোপুরি পরিত্যাগ করাও একটি বিকল্প হতে পারে। সূত্র: আল জাজিরা ও বিবিসি
এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘একটা শেষ। সত্যিকারের শেষ। কোনো যুদ্ধবিরতি নয়। একদম শেষ করে দেওয়া। কিংবা পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়া—তাও ঠিক।’
তিনি জানান, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বোঝা যাবে ইসরায়েল হামলার গতি কমাবে নাকি বাড়াবে। আপনারা দেখতে পাবেন। এখন পর্যন্ত কেউ থামেনি।’
মঙ্গলবার ট্রাম্প ‘সিচুয়েশন রুমে’ জাতীয় নিরাপত্তা টিমের সঙ্গে বৈঠক করার পরিকল্পনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র যদি সামরিকভাবে সংঘাতে জড়ায়, তাহলে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস নিশ্চিত হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আশা করি তার আগেই তাদের কর্মসূচি ধ্বংস হয়ে যাবে। ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অধিকারী হতে দেওয়া হবে না।’
তেহরান থেকে লোকজন সরানোর আহ্বান প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, এটি কোনো নির্দিষ্ট হুমকির কারণে নয়, বরং পরিস্থিতি বিবেচনায় মানুষের নিরাপত্তার জন্যই। তিনি বলেন, ‘আমি শুধু চাই মানুষ নিরাপদে থাকুক… যেকোনো কিছু ঘটতে পারে। তাই নিরাপদ থাকাই ভালো।’
মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন মার্কিন সেনা বা সম্পদ নিয়ে উদ্বেগ আছে কি না—এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, যদি ইরান তাদের স্পর্শ করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র এত জোরে পাল্টা জবাব দেবে যে… আমি মনে করি ওরা জানে, আমাদের সেনাদের স্পর্শ করা যাবে না।”
এ সপ্তাহে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও স্টিভ উইটকফকে ইরানের সঙ্গে বৈঠকে পাঠানোর খবর সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘হতে পারে। হতে পারে। আমি দেশে ফিরে কী অবস্থা পাই, তার ওপর নির্ভর করছে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ম র ক ন য ক তর ষ ট র ট র ম প বল ন
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’