বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানের ৩ দিন আগেই ট্রলিচাপায় প্রাণ গেল মুন্নার
Published: 17th, June 2025 GMT
বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানের তিনদিন আগেই ট্রলিচাপা প্রাণ গেল মনিরুজ্জামান মুন্না (৩৫) নামে এক যুবকের। আজ মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার নাজিমখাঁন বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মুন্না রংপুরের ঠাকুরদান গ্রামের মাহফুজার রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সকালে নাজিমখানে ভাড়া বাসা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন মুন্না। এ সময় নাজিমখান বাজারের সাকিনা মজিদ মেমোরিয়াল হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে একটি ট্রলি তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
মুন্নার স্বজনরা জানান, সম্প্রতি উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের চৌমোহনী এলাকার মোকছেদ আলীর মেয়ের সঙ্গে মুন্নার বিয়ে হয়। আগামী শুক্রবার তাদের বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানের কথা ছিল।
রাজারহাট থানার এসআই মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন
কিশোরগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বার্ধক্যজনিত কারণে মঙ্গলবার বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের বড়মাইপাড়া এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়। সখিনা বেগমের বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
তাঁর ভাগনি ফাইরুন্নেছা আক্তার বলেন, নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সখিনা বেগম। তিনি নিঃসন্তান। মুক্তিযুদ্ধের আগেই তাঁর স্বামী কিতাব আলীর মৃত্যু হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর সখিনা বেগম সশস্ত্র যুদ্ধে নামেন। নিকলীতে তাঁকে দেখভাল করার কেউ না থাকায় বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া এলাকায় ভাগনি ফাইরুন্নেছার সঙ্গে থাকতেন।
নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহানা মজুমদার মুক্তি জানান, বিকেলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমকে গুরুই এলাকার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কয়েকটি বইয়ের লেখা থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালে সখিনা বেগমের ভাগনে মতিউর রহমান সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারের হাতে শহীদ হন। ওই সময় সখিনা গুরুই এলাকায় বসু বাহিনীর নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রাঁধুনির কাজ করতেন। কাজের ফাঁকে রাজাকারদের গতিবিধির বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতেন। এক পর্যায়ে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরে সেখান থেকে পালিয়ে যান। ধারালো দা দিয়ে নিকলীর পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করেন সখিনা বেগম। ওই দা ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত।