চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ জন। এর আগে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত সোমবার এক জনের মৃত্যু হয়। 

মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রামের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ১৮০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ইমপেরিয়াল হাসপাতালের ল্যাবে তিন জন, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে দুই জন, পার্কভিউ হাসপাতালে তিন জন, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে দুই জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।  নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ১০ জনই চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

আরো পড়ুন:

মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড দিল চবিসাস

মনোরেল চলবে চট্টগ্রামে, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর 

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন

কিশোরগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বার্ধক্যজনিত কারণে মঙ্গলবার বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের বড়মাইপাড়া এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়। সখিনা বেগমের বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

তাঁর ভাগনি ফাইরুন্নেছা আক্তার বলেন, নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সখিনা বেগম। তিনি নিঃসন্তান। মুক্তিযুদ্ধের আগেই তাঁর স্বামী কিতাব আলীর মৃত্যু হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর সখিনা বেগম সশস্ত্র যুদ্ধে নামেন। নিকলীতে তাঁকে দেখভাল করার কেউ না থাকায় বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া এলাকায় ভাগনি ফাইরুন্নেছার সঙ্গে থাকতেন।

নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহানা মজুমদার মুক্তি জানান, বিকেলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমকে গুরুই এলাকার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কয়েকটি বইয়ের লেখা থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালে সখিনা বেগমের ভাগনে মতিউর রহমান সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারের হাতে শহীদ হন। ওই সময় সখিনা গুরুই এলাকায় বসু বাহিনীর নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রাঁধুনির কাজ করতেন। কাজের ফাঁকে রাজাকারদের গতিবিধির বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতেন। এক পর্যায়ে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরে সেখান থেকে পালিয়ে যান। ধারালো দা দিয়ে নিকলীর পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করেন সখিনা বেগম। ওই দা ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ