তিন মাসে জয়ার ৪ সিনেমা, কবে মুক্তি পাবে ‘ডিয়ার মা’
Published: 17th, June 2025 GMT
দারুণ সময় কাটাচ্ছেন জয়া আহসান। এবারের ঈদে দেশে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুই সিনেমা রায়হান রাফীর ‘তাণ্ডব’ ও তানিম নূরের ‘উৎসব’। দুটি সিনেমা নিয়ে দর্শকের আগ্রহ দেখা গেছে। ঈদের আগে গত ১৬ মে মুক্তি পায় পিপলু আর খানের ‘জয়া আর শারমিন’। আজ সন্ধ্যায় অভিনেত্রী জানিয়েছেন জুলাইতে তাঁর নতুন আরেকটি সিনেমা মুক্তি পাবে কলকাতায়। এটি হতে যাচ্ছে তিন মাসে তাঁর চতুর্থ সিনেমা।
আজ সন্ধ্যায় সিনেমার পোস্টার শেয়ার করে জয়া লিখেছেন, ‘ডিয়ার মা’ আসছে ১৮ জুলাই। অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর সিনেমাটির ট্যাগলাইন ‘রক্তের সম্পর্ক না ভালোবাসার টান’। পোস্টের নিচে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীসহ অনেকেই তাঁকে শুভকামনা জানিয়েছেন। জয়া আগে অনিরুদ্ধ পরিচালিত হিন্দি সিনেমা ‘কড়ক সিং’–এ অভিনয় করেন। ছবিটি মুক্তি পায় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জিফাইভে।
‘ডিয়ার মা’ সিনেমার পোস্টার। জয়া আহসানের ফেসবুক থেকে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন
কিশোরগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বার্ধক্যজনিত কারণে মঙ্গলবার বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের বড়মাইপাড়া এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়। সখিনা বেগমের বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
তাঁর ভাগনি ফাইরুন্নেছা আক্তার বলেন, নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সখিনা বেগম। তিনি নিঃসন্তান। মুক্তিযুদ্ধের আগেই তাঁর স্বামী কিতাব আলীর মৃত্যু হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর সখিনা বেগম সশস্ত্র যুদ্ধে নামেন। নিকলীতে তাঁকে দেখভাল করার কেউ না থাকায় বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া এলাকায় ভাগনি ফাইরুন্নেছার সঙ্গে থাকতেন।
নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহানা মজুমদার মুক্তি জানান, বিকেলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমকে গুরুই এলাকার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কয়েকটি বইয়ের লেখা থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালে সখিনা বেগমের ভাগনে মতিউর রহমান সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারের হাতে শহীদ হন। ওই সময় সখিনা গুরুই এলাকায় বসু বাহিনীর নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রাঁধুনির কাজ করতেন। কাজের ফাঁকে রাজাকারদের গতিবিধির বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতেন। এক পর্যায়ে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরে সেখান থেকে পালিয়ে যান। ধারালো দা দিয়ে নিকলীর পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করেন সখিনা বেগম। ওই দা ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত।