ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে হোয়াইট হাউসে এই বৈঠক হওয়ার কথা। খবর বিবিসির।

সাক্ষাৎকালে ট্রাম্প ও মুনির একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন। তবে পুরো বৈঠকে গণমাধ্যমের কাউকে উপস্থিত থাকতে দেওয়া হবে না।

জেনারেল মুনির ১৪ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর এই সাক্ষাৎ আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। তাঁদের মধ্যে এমন এক সময়ে সাক্ষাৎ হচ্ছে, যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত চলছে। ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা অঞ্চলটির অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত রয়েছে।

ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, জেনারেল মুনির গত মে মাসের শেষ দিকে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর তৎকালীন প্রধান মোহাম্মদ হোসেইন বাঘেইরির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। গত ১৩ জুন ইসরায়েলি বিমান হামলায় বাঘেইরি নিহত হন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ