কক্সবাজারের রামুতে পাহাড় কাটার সময় মাটি ধসে সিরাজুল হক (২৮) নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি জনুমাতবর পাড়া ফরেস্ট অফিসসংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

নিহত সিরাজুল হক উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চাইল্যাতলী এলাকার মো. কালুর ছেলে। স্থানীয় লোকজন জানান, সিরাজুল হক মাটি কাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। পাহাড় কাটার সময় মাটি ধসে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

দক্ষিণ মিঠাছড়ি জনুমাতবর পাড়া ফরেস্ট অফিস এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই এলাকার বন বিভাগের হেডম্যান ছৈয়দ নুরের ছেলে নজরুল ইসলাম নিজস্ব ডাম্পার দিয়ে পাহাড় কেটে মাটি পাচার করে আসছিলেন। সিরাজুল হককে মাটি কাটার জন্য নজরুল ইসলামই নিয়োগ দিয়েছিলেন। আজ ভোরে পাহাড় কাটতে গিয়ে মাটি চাপা পড়ে মারা যান সিরাজুল।

এ ব্যাপরে নজরুল ইসলামের বক্তব্য জানার জন্য একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তবে তিনি ফোন ধরেননি।

রামু থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ ফরিদ শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পাহাড় কাটার সময় মাটি ধসে সিরাজুল হক মাটি চাপা পড়েন। আজ সকাল ৯টার দিকে মাটি সরিয়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স র জ ল হক

এছাড়াও পড়ুন:

শেষ হলো বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সামরিক মহড়া ‘টাইগার শার্ক’

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া ‘টাইগার শার্ক’ সফলভাবে শেষ করেছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি, পারস্পরিক সমন্বয় এবং দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পরিচালিত এই মহড়ার মাধ্যমে দুই পক্ষের প্রতিরক্ষা অংশীদারত্ব জোরদার হয়েছে।

শনিবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী অঙ্গীকারের প্রতিফলন টাইগার শার্ক মহড়া। এই মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা একসঙ্গে চিকিৎসা প্রশিক্ষণ, টহল, লক্ষ্যভেদ অনুশীলন, সাঁতার, ডুবসাঁতার এবং ক্লোজ কোয়ার্টারস কমব্যাটসহ বিভিন্ন সমন্বিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নেন।

যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত) ট্রেসি জ্যাকবসন বলেন, ‘এই যৌথ সামরিক মহড়া নিরাপদ, শক্তিশালী ও আরও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে পুনর্ব্যক্ত করে। এটি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারত্বেরও প্রতীক।’

কৌশলগত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি টাইগার শার্কে অন্তর্ভুক্ত ছিল বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের বিনিময়, যৌথ পরিকল্পনা সেশন এবং কৃত্রিম অনুশীলন পরিবেশে প্রশিক্ষণ। এসব কার্যক্রম ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত কৌশল গঠনে সহায়তা করা।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম যুদ্ধ কমান্ড, যা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরের অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কার্যক্রম তদারকি করে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ