এবার নজরুল ইসলাম মজুমদারের স্ত্রীর প্লট, ফ্ল্যাট ও শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ
Published: 18th, June 2025 GMT
এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের স্ত্রী নাছরিন ইসলামের প্লট ও দুটি ফ্ল্যাট জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাঁর নামে ৫৫টি কোম্পানিতে থাকা শেয়ার জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ বুধবার এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে বলা হয়েছে, ২০ কোটি টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নাছরিন ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঢাকা সেনানিবাসে মহাখালীর ডিওএইচএসে তাঁর একটি প্লট ও দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এর বাইরে নাছরিন ইসলামের ৫৫টি কোম্পানিতে শেয়ার আছে। তদন্তকালে দুদক জানতে পেরেছে, নাছরিন ইসলাম তাঁর নামে থাকা প্লট, ফ্ল্যাট ও শেয়ার হস্তান্তর করার চেষ্টা করছেন। শুনানি নিয়ে আদালত তাঁর নামে থাকা প্লট, ফ্ল্যাট ও শেয়ার জব্দ করার আদেশ দেন।
এর আগে গত ৬ মার্চ নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদারের ৬টি বাড়ি ও ৮টি প্লট জব্দ করার আদেশ দেন আদালত। পাশাপাশি ৫৫টি কোম্পানিতে তাঁর নামে থাকা ৫৬ কোটি ৬ লাখ ৫৮ হাজার শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত নজরুল ইসলাম মজুমদার। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২৫ আগস্ট তাঁর ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়। একই সঙ্গে নজরুল ইসলামের স্ত্রী নাছরিন ইসলাম ও তাঁদের পুত্র-কন্যার ব্যাংক হিসাবও স্থগিত করা হয়। ১ অক্টোবর রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর বাইরে ফ্যালকন ইন্টারন্যাশনাল নিট কম্পোজিট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাহাতাব উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, পরিচালক মাহবুবা হাসনাত মাহিন চৌধুরী, ফজলুল করিম ও মিনহাজুল ইসলামের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত।
আরও পড়ুননজরুল ইসলাম মজুমদারের ছয় বাড়ি, আট প্লট জব্দের আদেশ০৬ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসল ম র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’