ষাটে আমিরের প্রেম, ঠাট্টা করলেন সালমান খান
Published: 18th, June 2025 GMT
কিরণ রাওয়ের সঙ্গে সংসার ভাঙার পর বেশ কিছু দিন সিঙ্গেল জীবনযাপন করেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। পার্টনার বিহীন জীবন কিছুদিন কাটানোর পর নতুন করে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান ষাট বছরের আমির খান। কয়েক দিন আগে প্রেমিকা গৌরি স্পাটকে সকলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন ‘দঙ্গল’ তারকা।
এবার আমির খানের প্রেম-বিয়ের প্রসঙ্গ উঠে এলো কপিল শর্মা সঞ্চালিত ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’ অনুষ্ঠানে। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আমির খানকে নিয়ে ঠাট্টা করলেন তারই বন্ধু বলিউডের মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর সালমান খান।
কপিল শর্মা বলেন, “আমির ভাই অপ্রতিরোধ্য, অথচ আপনি এখনো সেই দৌড় শুরুই করেননি।” জবাবে সালমান খান বলেন, “সত্যি বলতে, আমির খান তার নিজের দল নিয়ে অবস্থান করছে। পৃথিবী তাকে পারফেকশনিস্ট হিসেবে চেনে। সুতরাং যতক্ষণ সে বিয়েতে নিখুঁত না হচ্ছে…।” এরপরই হাসিতে ফেটে পড়েন সালমান খান।
আরো পড়ুন:
৫৭ বছর বয়সে বাবা হচ্ছেন আরবাজ খান!
সালমান খুব বাজে অভিনেতা, কারিনার বক্তব্য ভাইরাল
দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শোয়ের নতুন এই পর্ব এখনো প্রচার হয়নি। তবে এ পর্বের প্রমো প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে এভাবে কথা বলতে দেখা যায় সালমান-কপিল শর্মাকে। আগামী ২১ জুন রাত ৮টায় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে প্রকাশিত হবে পর্বটি।
ব্যক্তিগত জীবনে ভালোবেসে অভিনেত্রী রিনা দত্তর সঙ্গে প্রথমবার সংসার বাঁধেন আমির খান। ১৯৮৬ সালে কয়েকজন বন্ধুর সহযোগিতায় ম্যারেজ রেজিস্টার অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন রিনা ও আমির। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুই সন্তান— জুনায়েদ ও ইরা। ২০০২ সালে এই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
রিনার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কিরণ রাওয়ের সঙ্গে আমিরের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। এই অভিনেতার ‘লগান’ সিনেমার সেটেই তাদের পরিচয় হয়। এক সময় বন্ধুত্ব থেকে প্রেম এবং ২০০৫ সালে এই জুটির বিয়ে হয়। এ সংসারে আজাদ রাও খান নামে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। ২০২১ সালের ৩ জুলাই যৌথ বিবৃতিতে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন এই যুগল।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম র খ ন আম র খ ন
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’