নতুন মৌসুমে ঘিরে নতুন প্রজেক্ট দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে তুর্কি ক্লাব গালাতাসারায়। তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা জমাতে নতুন করে দল গোছাতে চান ফেনারবাহচে কোচ হোসে মরিনহো। ওই পরিকল্পনায় ফ্রি এজেন্টে সান্তোস থেকে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমারকে চান সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ, ইন্টার মিলান, চেলসি ও ম্যানইউ কোচ মরিনহো।

সংবাদ মাধ্যম ফেনাটিক দাবি করেছে, নেইমারকে দলে নেওয়ার জন্য এরই মধ্যে চেষ্টা শুরু করেছে ফেনারবাহচে। ভালো বেতনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে ক্লাবের পক্ষ থেকে।

৩০ জুন সান্তোসের সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে নেইমারের। তার বাবা নেইমার সিনিয়র জানিয়েছেন, ছেলের কাছে ইউরোপের বেশ কিছু ক্লাবের প্রস্তাব আছে। ফেনারবাহচে তারই একটা বলে দাবি করেছে সংবাদ মাধ্যম।

নেইমারের বাবা অবশ্য বলেছেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কিছু ক্লাবও নেইমারের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু করেছে। চলতি সপ্তাহেই তেমনই একটা ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা করতে মায়ামি যাওয়ার কথাও বলেন তিনি। সঙ্গে ব্রাজিলিয়ান লিগে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তিনি।

এর আগে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ খেলা ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্স নেইমারকে শুধু ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। ওই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন তিনি। মেক্সিকান ক্লাব পাচোকা থেকেও একই প্রস্তাব ছিল নেইমারের টেবিলে। সাড়া দেননি তিনি।

ওই সময় নেইমার জানান, কোন ক্লাবে সংক্ষিপ্ত চুক্তি করার চেয়ে তিনি সান্তোসে থেকে পূর্ণ ফিটনেস ও ফর্মে ফেরার প্রতি বেশি নজর দিচ্ছেন। তিনি জানান, শারীরিকভাবে তিনি ফিট। তবে মাঠে সেরাটা দিতে হলে তার আরও কিছু সময় দরকার। নিজেকে সেই সময়ই দিচ্ছেন তিনি।

নেইমারের বাবা জানিয়েছেন, ইউরোপের বেশ কিছু ক্লাব মনে করে নেইমারের এখনো দারুণ একটা মৌসুম কাটানোর সামর্থ্য আছে। এ সময় নেইমারের পোকার খেলা ও নারী নিয়ে পার্টি করা নিয়ে প্রশ্নে একহাত নেন নেইমার সিনিয়র।

তিনি বলেন, ‘পোকার খেলা কিংবা পার্টি করার জন্য তো নেইমারের ইনজুরি হয়নি। সে কেবল ছুটিতে থাকলেই অবসর যাপন করে। অনুশীলনে ফাঁকি দেয় না।’ বিষয়টি নিয়ে নেইমার বলেন, ‘অনেকেই ভাবে আমি সবসময় পার্টি করে বেড়াই। আমি সব কিছু করি ছুটিতে। জাতীয় দল ও ক্লাবে পনেরো বছর ফাঁক রেখে খেলা সম্ভব নয়। অনেক আত্মত্যাগ করতে হয়।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রস ত ব

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নেতার অনুসারীদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা। আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে শহরের মজমপুর রেলগেটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

সেখানে বিক্ষোভকারীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভের পাশাপাশি প্রতিবাদ মিছিলও করেন। এ ছাড়া সদর উপজেলার মধুপুর-লক্ষীপুর এলাকাতেও সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।

বিক্ষোভকারী নেতা-কর্মীদের দাবি, সোহরাব উদ্দিন কুষ্টিয়া-৩ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর বদলে এখানে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সোহরাব উদ্দিনকে পুনরায় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।

এর আগে সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাকির হোসেন সরকার।

এ বিষয়ে মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘শুনেছি আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। আমি শহরের বাইরে আছি।’ এর বেশি কথা বলেননি তিনি।

জানতে চাইলে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যিনি মনোনয়ন পাবেন, তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে এ নির্দেশনা যদি কেউ না মানেন, তাহলে কেন্দ্র ব্যবস্থা নেবে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হাসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণ করেছি।’

কুষ্টিয়ার অন্য তিনটি সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রার্থীরা হলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভোড়ামারা) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ