রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের মুলতবি আলোচনা শুরু
Published: 19th, June 2025 GMT
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের মুলতবি আলোচনা শুরু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই আলোচনা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
আজকের বৈঠকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, সংবিধান, রাষ্ট্রের মূলনীতি ও নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুনরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজব্যবস্থা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য: সালাহউদ্দিন আহমদ১১ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম পর্বের আলোচনায় মৌলিক সংস্কারের যেসব প্রস্তাবে ঐকমত্যে হয়নি, সেগুলো নিয়ে ২ জুন দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরদিন বিষয়ভিত্তিক আলোচনা শুরু হয়। ঈদুল আজহার ছুটির পর গত মঙ্গলবার থেকে আবার আলোচনা শুরু হয়।
মঙ্গলবারের আলোচনায় সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন, কিছু সংসদীয় কমিটির সভাপতি বিরোধী দল থেকে করা এবং প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিদ্যমান পদ্ধতি পরিবর্তনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়।
গতকাল বুধবার জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন ও রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনপদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়। তবে গতকালের আলোচনায় এ দুটি বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়নি। এ নিয়ে আরও আলোচনা হবে।
আজকের আলোচনা শুরু হয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে। এনসিসি গঠন নিয়ে আগামী সপ্তাহে আলোচনা হবে বলে ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে।
আজকের আলোচনায় অংশ নিয়েছে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ ৩০টি দল, যার মধ্যে দুটি জোট আছে।
আরও পড়ুনএনসিসির মতো প্রতিষ্ঠান গঠনের তাগিদ অনুভব করছে দলগুলো: আলী রীয়াজ১১ ঘণ্টা আগেবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল, জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠক উপস্থিত আছে।
আলোচনা সঞ্চালনায় আছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। আলোচনা আরও উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ড.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ষ ট রপত এনস স সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
সংস্কার বাস্তবায়ন করবে নির্বাচিত সরকার, কোনো অজুহাতে নির্বাচন বিলম্বিত করা যাবে না: সিপিবি
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, ‘ঐকমত্য কমিশন ও অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, সংস্কার নিয়ে যত কথাই বলি না কেন, সংস্কার বিষয়ে হওয়া ঐকমত্য বাস্তবায়ন করতে হবে আগামীতে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে। কোনো অজুহাতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বিলম্ব করা যাবে না।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার বিরতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের পক্ষ থেকে এ কথা বলেন রুহিন হোসেন। এ সময় বাম জোটের অন্য শরিক দলের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
রুহিন হোসেন বলেন, অন্য কোনো নির্বাচনের কথা এনে চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের অন্যতম যে আকাঙ্ক্ষা, গণতন্ত্রের পথে হাঁটা, সেটাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। গণহত্যার বিচার ও সংস্কার করেই এ বছরে নির্বাচন করা সম্ভব। তাঁরা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন চান।
বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত উল্লেখ করে রুহিন হোসেন বলেন, ‘সংসদকে প্রতিনিধিত্বমূলক করতে হলে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি চালু করতে হবে। স্বাধীনতার পর থেকে আমরা এ বিষয়ে কথা বলে আসছি। সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন নিশ্চিত করতে হবে।’
নির্বাচনকে ভয়, অর্থমুক্ত এবং আঞ্চলিক খেলা থেকে মুক্ত করার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এখনো কোনো আলোচনা তৈরি করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সমালোচনা করে রুহিন হোসেন বলেন, ‘এই অনুচ্ছেদের অধীন এমন কতগুলো বিষয় আছে, যার মাধ্যমে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না। আমরা বরাবরই এ অনুচ্ছেদের বিষয়ে নতুন করে ভাবার কথা বলে আসছি। আজকের আলোচনায় ৭০ অনুচ্ছেদের অধীন আস্থাভোট এবং অর্থবিল যুক্ত করার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। সংসদ সদস্যরা অন্যান্য বিষয়ে নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারবেন। এ উদ্যোগের সঙ্গে আমরাও একমত।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে রুহিন হোসেন বলেন, কমিশন সংসদে নারীদের আসন বাড়ানোর বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এটা নিয়ে স্বাধীনতার পর থেকে বাম দলগুলো আন্দোলন করছে।