গোবিপ্রবি হলে হলে ফ্যান, খুশি শিক্ষার্থীরা
Published: 19th, June 2025 GMT
গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের শিক্ষজীবন স্বস্তিদায়ক করতে দুটি আবাসিক হলে ফ্যান স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর তাঁর অফিস কক্ষে স্বাধীনতা দিবস হল ও বিজয় দিবস হলের প্রাধ্যক্ষদের কাছে এসব ফ্যান হস্তান্তর করেন।
এর আগে, গত ১৫ মে উপাচার্য হল পরিদর্শনে গেলে শিক্ষার্থীরা প্রতিটি কক্ষে ফ্যান স্থাপনের দাবি জানান। শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক দাবির প্রেক্ষিতে উপাচার্য দ্রুত সময়ের মধ্যে ফ্যান সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেন। এরই অংশ হিসেবে এ ফ্যান বিতরণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় ছাত্রাবাসে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে রহস্য
যবিপ্রবিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
ফ্যান গ্রহণ করেন স্বাধীনতা দিবস হলের প্রাধ্যক্ষ ড.
এদিকে, ফ্যান প্রদানের খবরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা বাকি তিনটি হলেও দ্রুত ফ্যান প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে মেয়েদের দুইটিসহ মোট পাঁচটি আবাসিক হল রয়েছে। এর মধ্যে ছেলেদের দুইটি হলে ফ্যান দেওয়ায় আমরা খুশি। কিন্তু এখনো মেয়েদের দুইটি হল ও ছেলেদের একটি হল বাকি রয়েছে। বাকি এ তিন হলে দ্রুত ফ্যান স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, “দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব একটি পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের সমস্যা ও দাবিদাওয়া গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। আজকের ফ্যান বিতরণ তারই একটি বাস্তব উদাহরণ।”
ঢাকা/রিশাদ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফেনীতে ভারী বৃষ্টিতে বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে সিলোনিয়ার পানি, বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই মুহুরী
ফেনীতে টানা বর্ষণ ও ভারত থেকে আসা উজানের পানিতে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। লোকালয়ে প্রবেশ করছে সিলোনিয়া নদীর পানি। এর ফলে ফেনীর দুই উপজেলা পরশুরাম ও ফুলগাজীর নদীতীরবর্তী বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ফেনীতে সর্বোচ্চ ৮১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে জেলা আবহাওয়া অফিস। এর ফলে বেড়েছে জেলার সব নদ-নদী ও জলাশয়ের পানি। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মুহুরী নদীর পানি ১১ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী (পুর) ওয়াসিম আকরাম জানিয়েছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, টানা বর্ষণ ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের কারণে মুহুরী নদীতে পানি হু হু করে বাড়ছে। এই নদীতে পানির বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। এর ফলে প্রায় বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই নদীর পানি। মুহুরী নদীতে হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় ফুলগাজী উপজেলার লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
ফুলগাজীর বাসিন্দা শাহাব উদ্দিন জানান, ফুলগাজী বাজারে সন্ধ্যায় পানি প্রবেশ করেছে। তবে দীর্ঘক্ষণ বৃষ্টি বন্ধ থাকায় পানি নেমে যেতে পারে। আবার ভারী বর্ষণ শুরু হলে পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
এদিকে সিলোনিয়া নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের সুবার বাজারের দক্ষিণ ও উত্তর পাশ এবং মনিপুর গ্রামের একাংশ প্লাবিত হয়েছে। লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের বন্যায় সীমান্তবর্তী মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হয়। ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় কয়েক লাখ মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, তিনটি নদীর বেড়িবাঁধের ৫২টি স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হলেও অধিকাংশ বাঁধ মেরামত করা হয়েছে। তবে বেড়িবাঁধের ১০-১২টি স্থান এখনো মেরামত করা হয়নি। এসব স্থান দিয়ে জনপদে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান বলেন, গত বছরের বেড়িবাঁধের ভাঙন মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছিল। নদীতে পানি বাড়ায় নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আক্তার হোসেন মজুমদার জানান, নদীতে পানি বাড়লেও নিয়মিত মনিটর করা হচ্ছে। মুহুরী-কহুয়া-সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ অংশগুলো মেরামতের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা তৎপর রয়েছেন।