ছাত্রদলের মিছিলে হামলার অভিযোগ, নরসিংদী জেলা বিএনপি নেতা জুয়েল গ্রেপ্তার
Published: 19th, June 2025 GMT
নরসিংদীর পলাশে ছাত্রদলের মিছিলে হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৮ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফজলুর কবির জুয়েল পলাশ বাজার এলাকার ফজর আলী মাস্টারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেলে উপজেলা ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট পলাশ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে শোডাউনের উদ্দেশে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি বিএডিসি মোড় এলাকায় গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের নেতৃত্বে তার সমর্থকদের একটি শোডাউনের মুখোমুখি হয়। এসময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন ছাত্রদল কর্মী ইসমাইল হোসেন, পথচারী সোহেল মিয়াসহ আরো কয়েকজন। এ ঘটনায় ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিয়াম মিয়া বাদী হয়ে জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলকে প্রধান করে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করে পলাশ থানায় একটি মামলা করেন।
আরো পড়ুন:
উত্তরায় র্যাব পরিচয়ে কোটি টাকা ডাকাতি: গ্রেপ্তার ৫
টাঙ্গাইলে মাদকসহ দুই সহোদর গ্রেপ্তার
পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
ঢাকা/হৃদয়/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল র ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
মাদক কারবারিদের গুলিতে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে হাসপাতালে আইজিপি
রাজধানীর ফকিরাপুলে মাদক কারবারিদের গুলিতে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) লালবাগ বিভাগের এএসআই (সহকারী উপপরিদর্শক) আতিক হাসান ও কনস্টেবল মো. সুজনের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ডিবি পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার মধ্যরাতে রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের বিপরীতে ফকিরাপুল মোড়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় ইয়াবা বেচাকেনার মধ্যস্থতাকারী আবদুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। ডিবির ভাষ্য, একটি পক্ষ ব্যাগে করে ইয়াবা এনে প্রাইভেট কারে আসা আরেক পক্ষের কাছে হস্তান্তর করছিল। ওই মুহূর্তে অভিযান চালিয়ে ব্যাগটি জব্দ করে পুলিশ।
ডিবি সূত্র জানায়, ইয়াবা হস্তান্তরের সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি প্রাইভেট কার জব্দের চেষ্টা করা হলে চালক দ্রুতগতিতে গাড়িটি প্রায় ৬০০ গজ দূরে নিয়ে যান। পরে সেটি থামিয়ে চাবি জব্দ করেন ডিবি সদস্যরা। এ সময় প্রাইভেট কারের আরোহী ও ইয়াবা বহনকারীরা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠে পালানোর চেষ্টা করেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তাঁরা ডিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে ডিবির সহকারী কমিশনার এনায়েত কবিরের ডান হাতের আঙুলে গুলি লাগে। এ ছাড়া আহত হন এএসআই আতিক হাসান ও কনস্টেবল মো. সুজন।
গুলিবিদ্ধ ও আহত অবস্থায় ডিবি সদস্যরা অটোরিকশাটিকে ধাওয়া করেন। কিছু দূর যাওয়ার পর সেটি উল্টে গেলে ডিবি সদস্যরা মাদক কারবারি আবদুল আজিজ (৩৮) ও হৃদয় সরকার ওরফে আশিককে (৩৫) আটক করেন। তবে তাঁদের সঙ্গে থাকা আরও দুজন পালিয়ে যান।
গুলিবিদ্ধ কর্মকর্তা এনায়েত কবিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।