নাজমুল শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে গল টেস্টে বাংলাদেশের প্রথশ ইনিংসে করা ৪৯৫ রানের শক্ত জবাব দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় দিনের শেষ বেলায় ডাবল সেঞ্চুরির পথে থাকা পাথুম নিশাঙ্কাকে তুলে নিয়ে লাগাম টেনে ধরে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিন সকালে ফেরায় ধনাঞ্জয়া ও কুশল মেন্ডিসকে। তবে কামিন্দু মেন্ডিসে লিডের পথে স্বাগতিকরা।

শ্রীলঙ্কা ১২৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৬৫ রান করেছে। বাংলাদেশের চেয়ে ৩০ রানে পিছিয়ে আছে। ক্রিজে থাকা কামিন্দু মেন্ডিস ৮৩ রান করেছেন। তার সঙ্গী পেসার মিলান প্রিয়ানাথ ৩৮ রানে খেলছেন।

কামিন্দু-ধনাঞ্জয়ার জুটি ভাঙলেন নাঈম: পাথুম নিশাঙ্কা আউট হওয়ার পর নির্ভার ব্যাটিং করে তৃতীয় দেন শেষ করেন কামিন্দু মেন্ডিস ও অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। কামিন্দু ৩৭  ও ডি সিলভা ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। চতুর্থ দিন সকালে লঙ্কান অধিনায়ককে তুলে নেন নাঈম হাসান। তিনি ২ রান যোগ করতে পারেন। পরেই হাসান মাহমুদ কুশল মেন্ডিসকে আউট করেন। তিনি ৫ রান করেন।

নিশাঙ্কার ডাবলের স্বপ্ন ভঙ্গ: লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার ডাবল সেঞ্চুরির স্বপ্ন ভেঙেছেন বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ। সাজঘরে ফেরার আগে নিশাঙ্কা দাপুটে ব্যাটিং করেছেন। তিনি ২৫৬ বলে ১৮৭ রান করে বোল্ড হন। ২৩ চার ও এক ছক্কায় ইনিংস সাজান। ৭৩.

০৫ স্ট্রাইক রেটে রান তুলেছেন তিন ফরম্যাটে দারুণ ছন্দে থাকা এই ব্যাটার। তার ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশকে পাল্টা জবাব দিয়েছে স্বাগতিকরা। সেঞ্চুরির পরই অবশ্য নিশাঙ্কাকে আউটের সুযোগ হারায় বাংলাদেশ। চান্দিমাল আউট হওয়ার পরের ওভারে ১১৯ রানে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান তিনি।

মুমিনুলের শিকার ম্যাথুস: ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলছেন অ্যাঞ্জেল ম্যাথুস। বিশ্বকাপে তাকে টাইমড আউট করেছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাথুসকে গার্ড অব অনার দেয় টাইগাররা। ক্রিজে এসে ৬৯ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৩৯ রান করে মুমিনুলের বলে আউট হয়েছেন তিনি।

চান্দিমালকে ফেরালেন নাঈম: নিশাঙ্কা ও চান্দিমাল ১৫৭ রানের জুটি গড়েন। ওই জুটি ভাঙেন নাঈম হাসান। ১১৯ বলে চারটি চারের শটে ৫৪ রান করেন লঙ্কান এই ব্যাটার। দলের হয়ে প্রথম উইকেটটি নেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তিনি ওপেনার লাহিরু উদারাকে ২৯ রানে আউট করেন।

পাঁচশ’ হলো না বাংলাদেশের: গল টেস্টের দ্বিতীয় দিন ৯ উইকেটে ৪৮৯ রান নিয়ে শেষ করেছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন সকালেই ইনিংস ঘোষণার সম্ভাবনা ছিল। তবে ব্যাটিংয়ে নামেন পেসার হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা। তারা মাত্র ৩.৪ ওভার টিকতে পারেন, যোগ করেন ৬ রান। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ৪৯৫ রানে বড় অবদান মুশফিকুর রহিম, নাজমুল শান্ত ও লিটন দাসের। এর মধ্যে মুশফিক ৩৫০ বল খেলে ১৬৩ রান করেন। শান্ত ১৪৮ রান করে ফিরে যান। সেঞ্চুরির আক্ষেপে পুড়তে হয় লিটন দাসকে (৯০)। প্রথম ইনিংসে লঙ্কান পেসার আসিথা ফার্নান্দো ৪টি এবং মিলান রত্নায়েকে ৩ উইকেট নেন। স্পিনার থারিন্দু রত্নায়েনে নেন ৩ উইকেট। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গল ট স ট র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

সূর্য কি সত্যিই জেগে উঠছে

সৌরজগতে উষ্ণতা থেকে শুরু করে ভর আর সব গ্রহের কক্ষপথের স্থিতিশীলতা দিচ্ছে সূর্য। আমাদের পৃথিবীতে জীবনের অস্তিত্বের জন্য প্রয়োজনীয় অবস্থা তৈরির জন্য সূর্যের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। তবে নাসার বিজ্ঞানীদের ধারণা, শক্তিশালী সূর্য জেগে উঠেছে। আমাদের সূর্য অপ্রত্যাশিতভাবে তার কার্যকলাপ বৃদ্ধি করতে শুরু করেছে। এতে আরও তীব্র সৌরঝড় দেখা দিতে পারে। সৌরঝড়ের কারণে নানা ভাবে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ ব্যাহত হয়।

নাসার তথ্যমতে, আমাদের সৌরজগতের মধ্যমণি সূর্য প্রায় ২০ বছর ধরে শান্ত ও দুর্বল অবস্থায় ছিল। ২০০৮ সালে সূর্যের প্রকৃতিতে আশ্চর্যজনকভাবে পরিবর্তন আসে। বিজ্ঞানীরা সেই পরিবর্তনের কারণে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৮ সাল থেকে সূর্যের সৌরবায়ু বা চার্জ হওয়া কণার স্রোতের গতি, ঘনত্ব, তাপমাত্রা ও চৌম্বক ক্ষেত্রের শক্তি বাড়ছে। এতে শক্তিশালী সৌরঝড় তৈরির সুযোগ বাড়ছে। এসব ঝড় নিয়মিতভাবে পৃথিবীতে আঘাত করে। ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের কারণে পাওয়ার গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঝড় উপগ্রহের স্বাভাবিক কাজে হস্তক্ষেপ করে বলে জিপিএসের মতো যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হয়।

সৌরঝড় কখন তৈরি হবে, তার সঠিক সময় ও ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ২০২৫ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে সূর্যের বর্তমান ১১ বছরের চক্র সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে বলে ঝড় আরও ঘন ঘন হতে পারে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির প্রধান গবেষণা লেখক জেমি জ্যাসিনস্কি বলেন, সূর্য ধীরে ধীরে জেগে উঠছে। সৌর কণার বর্ধিত সংস্পর্শ মহাকাশচারীদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এ সপ্তাহে একটি শক্তিশালী ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের কারণে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবায় ব্যাপক সমস্যা দেখা যায়।

অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্সে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, সৌর কার্যকলাপের বৃদ্ধি দীর্ঘ ২২ বছরের চক্রের অংশ হতে পারে। সূর্য এখন তার রহস্যময় দুই দশকের শান্ত অবস্থা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। ২০০৮ সাল থেকে সৌরবায়ুর গতি ৬ শতাংশ ও ঘনত্ব ২৬ শতাংশ বেড়েছে।

সূত্র: ডেইলি মেইল

সম্পর্কিত নিবন্ধ