ইংল্যান্ড সিরিজে ভারতের ৩–১ ব্যবধানে জয় দেখছেন টেন্ডুলকার
Published: 20th, June 2025 GMT
এবার ভারতের পক্ষে বাজি ধরা কঠিনই হওয়ার কথা। দলে নেই বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো ক্রিকেটার। নেই চেতেশ্বর পূজারা, রাহানেরাও। ১৩ বছর পর পূজারা-কোহলি-রোহিত-রাহানে-অশ্বিন ছাড়া টেস্টে নামবে ভারত। মানে নতুন যুগের সূচনা করতে যাচ্ছে দলটি।
তবু ইংল্যান্ডের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে ভারতের জয় দেখছেন কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার। ক্রিকেটবিষয়ক পোর্টাল ইএসপিএনক্রিকইনফোকে বৃহস্পতিবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক শচীন ২০০৭ সালে রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডে ভারতের শেষ সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। এবার নেতৃত্বে শুবমান গিল। তাঁর এই দল নিয়ে টেন্ডুলকার আশাবাদী। কিংবদন্তি ভারতের জয় নিয়ে বলেছেন, ‘আমি ৩-১ ব্যবধানে ভারতের পক্ষেই সিরিজের ফল ধরে রেখেছি।’
আমার পরামর্শ থাকবে—বাইরের কে কী বলছে, সেসব নিয়ে ভাবার দরকার নেই। শুবমান আক্রমণাত্মক, না রক্ষণাত্মক, না সে যথেষ্ট তৎপর—এসব শুধু মতামত। এসব দলের বাইরে থাকা লোকজনের মতামত।শচীন টেন্ডুলকারশচীনের বাজি যেমন ভারতের পক্ষে তেমনি ইংল্যান্ডের সাবেক দুই ক্রিকেটার নাসের হুসেইন ও গ্রায়েম সোয়ানেরও বাজি ইংল্যান্ডের পক্ষে। নাসের এই সিরিজে ইংল্যান্ডের ৩-১ ব্যবধানে ও সোয়ান ৪-১ ব্যবধানে জয় দেখছেন।
আরও পড়ুনজিএসএলের সঙ্গে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজের সংঘাত, রংপুরের দলে কে আছেন কে নেই২ ঘণ্টা আগেপাঁচ টেস্টের এই সিরিজ ভারত খেলবে শুবমান গিলের নেতৃত্বে। মাত্র ২৪ বছর বয়সে ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়ক হয়েছেন গিল। গত ২৪ মে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন টেস্ট অধিনায়ক ঘোষণা করে বিসিসিআই।
নতুন অধিনায়ক গিলকে পরামর্শ দিয়েছেন টেন্ডুলকার, ‘আমার পরামর্শ থাকবে—বাইরের কে কী বলছে, সেসব নিয়ে ভাবার দরকার নেই। শুবমান আক্রমণাত্মক, না রক্ষণাত্মক, না সে যথেষ্ট তৎপর—এসব শুধু মতামত। এসব দলের বাইরে থাকা লোকজনের মতামত। ওর ভাবার বিষয় হলো, ড্রেসিংরুমে যেটা আলোচনা হয়েছে সেটা মাঠে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না। সিদ্ধান্তগুলো দলের স্বার্থকে সামনে রেখেই নেওয়া হচ্ছে কি না—সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
অ্যান্ডারসন–টেন্ডুলকার ট্রফি।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ট ন ড লক র ৩ ১ ব যবধ ন শ বম ন মত মত
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’