গল টেস্টে নাজমুল শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৪৯৫ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে শ্রীলঙ্কা ৪৮৫ রান করেছে। প্রথম ইনিংস থেকে ১০ রানের লিড পেয়েছে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে টপ অর্ডারের দুই ব্যাটার এনামুল হক বিজয় ও মুমিনুল হককে হারিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ২২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান করেছে সফরকারীরা। সাদমান ইসলাম ৪৪ রান করেছেন। তার সঙ্গী অধিনায়ক নাজমুল শান্ত।
কামিন্দুর সেঞ্চুরি মিস, নাঈমের ফাইফার: চতুর্থ দিনের শুরুতে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কুশল মেন্ডিস আউট হন। পরে কামিন্দু মেন্ডিস সেঞ্চুরির আশা দিয়ে ৮৭ রানে আউট হন। বাংলাদেশের ডানহাতি অফ স্পিনার নাঈম হাসান ৫ উইকেট তুলে নেন। লাঞ্চের পরে লঙ্কানরা ২০ রানে ৪ উইকেট হারায় যার তিনটিই নিয়েছেন নাঈম।
নিশাঙ্কার ডাবলের স্বপ্ন ভঙ্গ: লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার ডাবল সেঞ্চুরির স্বপ্ন ভেঙেছেন বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ। তৃতীয় দিনের শেষ বেলায় ২৫৬ বলে ১৮৭ রান করে বোল্ড হন তিনি। ২৩ চার ও এক ছক্কায় ইনিংস সাজান। ১১৯ রানে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি।
শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরি: গল টেস্টের প্রথম মুশফিক ৩৫০ বল খেলে ১৬৩ রান করেন। শান্ত ১৪৮ রান করে ফিরে যান। সেঞ্চুরির আক্ষেপে পুড়তে হয় লিটন দাসকে (৯০)। প্রথম ইনিংসে লঙ্কান পেসার আসিথা ফার্নান্দো ৪টি এবং মিলান রত্নায়েকে ৩ উইকেট নেন। স্পিনার থারিন্দু রত্নায়েনে নেন ৩ উইকেট।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গল ট স ট র ন কর প রথম উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’