এশিয়া কাপ আর্চারিতে সোনা জিতলেন বাংলাদেশের আলিফ
Published: 20th, June 2025 GMT
এশিয়া কাপ আর্চারির দ্বিতীয় লেগে পুরুষদের রিকার্ভ ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জিতেছেন বাংলাদেশের আবদুর রহমান আলিফ। আজ সিঙ্গাপুরে এই ইভেন্টের ফাইনালে আলিফ ৬-৪ সেট পয়েন্টে হারিয়েছেন জাপানের মিয়াতা গাকুতোকে।
রিকার্ভ পুরুষদের বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ১৮০ নম্বরে আছেন আলিফ। দ্বিতীয় কোনো বাংলাদেশি আর্চার হিসেবে তিনি এশিয়ান পর্যায়ে সোনা জেতার কীর্তি গড়লেন। এর আগে ২০১৯ সালে রোমান সানা এশিয়া কাপ আর্চারির লেগ-৩-এ সোনা জিতেছিলেন।
বুকিত গমবাক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে আলিফের শুরুটা হয়েছে দারুণভাবে। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর প্রথম দুই সেট জিতে নেন আলিফ। প্রথম সেটে আলিফের স্কোর ছিল ২৮, আর গাকুতোর ২৭। দ্বিতীয় সেটও এক ব্যবধান রেখে জিতে নেন আলিফ। তবে পরপর দুই সেট হারার পর গাকুতো ঘুরে দাঁড়ান। তৃতীয় ও চতুর্থ সেট জিতে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত পঞ্চম সেটে ২৯-২৬ ব্যবধানে জিতে সোনা নিশ্চিত করেন ১৯ বছর বয়সী আলিফ।
গত ১৬ জুন ‘বাই’ পেয়ে এলিমিনেশন রাউন্ড শুরু করেছিলেন আলিফ। এরপর চীনের আলিনকে ৬-২ সেট পয়েন্টে হারিয়ে নাম লেখান শেষ ৩২-এ। সেখান থেকে পরবর্তী ধাপে মালয়েশিয়ার মুহাম্মাদ শফিককে ৬-৪ ব্যবধানে হারিয়ে এবং চায়নিজ তাইপের লি কাই-ইয়েনকে ৭-৩ হারিয়ে পেয়ে যান সেমিফাইনালের টিকিট।
ফাইনালে ওঠার পথে আবার চায়নিজ তাইপের আরেক প্রতিপক্ষ চেন পিন-আনকে পেয়েছিলেন। সেই বাধায় প্রথম সেটে (২৬-২৫) জিতলেও পরের দুই সেটে হেরে গিয়েছিলেন। তবে ঘুরে দাঁড়িয়ে চতুর্থ সেট ২৯-২৫ ব্যবধানে জেতার পর পঞ্চম সেটে ২৮-২৭ ব্যবধান ধরে রেখে জায়গা করে নেন ফাইনালে।
আর্চারির ব্যক্তিগত ইভেন্টে এটিই আলিফের প্রথম সোনা। এর আগে আর্চারি বিশ্বকাপ, এশিয়ান আর্চারি, এশিয়া কাপের বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্টে অংশ নেন আলিফ। কিন্তু কোনোটিতেই আলো ছড়াতে পারেননি তিনি। অবশেষে এশিয়া কাপে সোনা দিয়েই ক্যারিয়ারের প্রথম ব্যক্তিগত পদক পেলেন এই বাংলাদেশি আর্চার।
২০২৫ এশিয়া কাপ আর্চারির দ্বিতীয় লেগ শুরু হয়েছে গত ১৬ জুন। ৫ দিনের এই প্রতিযোগিতায় ২১টি দেশের ২১৩ জন আরচার অংশ নিয়েছেন। ছেলে ও মেয়েদের রিকার্ভ ও কম্পাউন্ড মিলিয়ে বাংলাদেশ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মোট ১১ জন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক প আর চ র আর চ র র ব যবধ ন ন আল ফ ফ ইন ল প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’