খ্যাতিমান আলোকচিত্রী চঞ্চল মাহমুদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন চঞ্চল মাহমুদের ছাত্র আলোকচিত্রী সাহাদাত পারভেজ। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন গুণী এই আলোকচিত্রী। চার দিন আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয়। আজ দুইবার তার হার্ট অ্যাটাক হয়। এর আগে পাঁচবার তিনি হার্ট অ্যাটাক করেছেন। 

তিনি আরও বলেন, শনিবার বনানী কবরস্থানে বাদ জোহর জানাজা শেষে চঞ্চল মাহমুদকে দাফন করা হতে পারে।

সাড়ে চার দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্যামেরা হাতে বাংলাদেশের আলোকচিত্র জগতে সক্রিয় ছিলেন চঞ্চল মাহমুদ। দেশের ফ্যাশন আলোকচিত্রকে জনপ্রিয় ধারায় রূপ দেওয়ার পেছনে তার ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য।

‘চঞ্চল মাহমুদ ফটোগ্রাফি’ নামে একটি নিজস্ব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে তিনি নতুন প্রজন্মের আলোকচিত্রীদের প্রশিক্ষণ দিতেন। তার তোলা অনেক ছবি দেশ-বিদেশের নানা প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সাহিত্য রাজনৈতিক বিভাজন ভেঙে দেয়: ফরহাদ মজহার 

সাহিত্য রাজনৈতিক বিভাজন ভেঙে দেয় বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও দার্শনিক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, সাহিত্য সবসময়ই রাজনৈতিক শক্তির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। কারণ সাহিত্য বিভাজনকে ভেঙে দেয়, নতুন সম্বন্ধ তৈরি করে। ফলে সাহিত্য কখনো সরাসরি রাজনীতির হাতিয়ার হয়ে উঠলেও, তা রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ করেই টিকে থাকে। রাজনীতি বুঝলে সাহিত্যও বোঝা যাবে। সাহিত্য শুধু জাতীয়তাবাদী বয়ান নয় বরং সার্বজনীনতার আকাঙ্ক্ষাও।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে মোহাম্মদ রোমেলের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘অধরা শহীদি মিছিল’–এর ওপর পাঠ, আবৃত্তি ও পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাহিত্য ও চিন্তাশীলতার এই আয়োজনে উপস্থিত বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম, গবেষক কুদরত-ই-হুদা এবং কবি ও ‘বিবিধ’ পত্রিকার সম্পাদক ইকতিজা হাসান। সঞ্চালনায় ছিলেন লেখক ও চিন্তক উদয় হাসান। আয়োজক ছিল ‘বায়োস্কোপ আড্ডা’।

বই প্রসঙ্গে ফরহাদ মজহার বলেন, শহীদি মিছিল শুধু একটি বই নয়, এটি একটি রাজনৈতিক অভিব্যক্তি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্মৃতি বহন করে এই নাম। বইয়েই কবিতাগুলো ২০১৩ সাল থেকে লেখা হয়েছে, যার ভেতরে আছে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও রাজনীতিকে নতুনভাবে দেখার আকাঙ্ক্ষা।

কবি সম্পর্কে তিনি বলেন, রোমেল এখনো বাইনারি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত নন। তাঁর কবিতায় গ্রাম বনাম শহর, নাগরিকতা বনাম প্রকৃতি, আবেগ বনাম যুক্তির দ্বন্দ্ব প্রকট। তবে তিনি এই দ্বৈততার ভেতর থেকেও নতুন ভাষা নির্মাণের সম্ভাবনা তৈরি করছেন। 

আলোচনায় মোহাম্মদ আজম বলেন, রোমেল প্রচলিত কাব্যধারায় কবিতা লেখেননি। তাঁর কবিতায় বাংলার ভাব, কৃষি, নাগরিক সংকট, রাজনৈতিক ভাষ্য ও একান্ত ব্যক্তিগত অনুভব একত্রে ধরা পড়ে। এইসব উপাদানে ফরহাদ মজহারের ছায়া লক্ষ্য করা যায়।

তিনি আরও বলেন, রোমেলের কবিতা শরীরকে একটি কেন্দ্রীয় মেটাফোর হিসেবে ব্যবহার করেছে। প্রেম, আবেগ, ভালোবাসা সবই সেখানে শরীরের ভেতর দিয়ে প্রকাশিত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ