হিসাবরক্ষণ সংক্রান্ত গবেষণা ও পেশাগত দক্ষতা নিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ।

শনিবার (২১ জুন) যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় গ্যালারীতে ‘অ্যাকাউন্টিং রিসার্চ অ্যান্ড ক্যারিয়ার ডেভোলপমেন্ট’ শীর্ষক ন্যাশনাল সেমিনার আয়োজন করে যবিপ্রবির অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগ।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় স্যার জগদীস চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের নবম তলায় পোস্টার প্রেজেন্টেশনের উদ্বোধন করেন যবিপ্রবি উপাচার্য।

আরো পড়ুন:

সিকৃবিতে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু

চবির মায়া লেকে প্রবেশে বাধা, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মো. আব্দুল মজিদ বলেন, “সেমিনার ও কনফারেন্স শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করে। অ্যাকাউন্টিং এমন একটি বিষয় যা সব ক্ষেত্রে অতীব জরুরি। অ্যাকাউন্টিং ছাড়া কোনো কিছুই কল্পনা করা যায় না। পৃথিবীর সব জায়গায় এই সাবজেক্টের বিচরণ রয়েছে। তোমাদের গবেষণামুখী হতে হবে। গবেষণার মাধ্যমে তোমাদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।”

সেমিনারে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাজী মোহম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ মোস্তাক আহমেদ, ইস্ট ওস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহম্মদ জাকারিয়া মাসুদ ও ইউনিলিভ্যার কনজিউমার কেয়ার লিমিটেডের সিনিয়র টেরিটরি ম্যানেজার মো. সাকাওয়াত হোসেন।

বক্তারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ‘অ্যাকাউন্টিং রিসার্চ অ্যান্ড ক্যারিয়ার ডেভোলপমেন্ট’ ও শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার উন্নয়ন বিষয়ে বিস্তারিত গবেষণালদ্ধ তথ্য আলোকপাত করেন।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন। আরো বক্তব্য রাখেন সেমিনারের আহ্বায়ক ও এআইএস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ কামাল হোসেন, এআইএস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এআইএস বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এআইএস বিভাগের শিক্ষার্থী তৌফিক ইকবাল ও ফাতেমাতুজ্জোহরা। 

ঢাকা/ইমদাদুল/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অ য ক উন ট ব শ বব দ য উপ চ র য

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত করছে পুলিশ

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এর একটি হচ্ছে গাজীপুরে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলের ধাওয়া দেওয়ার ভিডিও ধারণ করা এবং আরেকটি হচ্ছে পূর্বশত্রুতার বিষয়। পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করেছে তারা। তাঁদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান, তাঁর স্ত্রী গোলাপি, মো. স্বাধীন ও আল আমিন। পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে এই চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা ছিনতাইকারী দলের সদস্য। এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে।

পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়। এরপর তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের তিনটি দল ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় অভিযানে নামে। গতকাল রাত আনুমানিক ১০টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর থেকে মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান ও তাঁর স্ত্রী গোলাপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের অপর একটি দল গাজীপুর শহরের পাশ থেকে স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়।নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ