লালমনিরহাটে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে বাবা-ছেলেকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। রোববার বিকেলে শহরের হানিফ মোড় এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।   

আটকরা বাবা-ছেলে। বাবার বয়স ৬৯ এবং ছেলের ৩৫। তারা পেশায় নাপিত।

পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার এক কিশোর সেলুনে চুল কাটাতে গেলে ওই ব্যক্তি তাকে উদ্দেশ করে ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে রোববার যোহরের নামাজ শেষে স্থানীয় মুসল্লিরা সেলুনে গিয়ে ওই নাপিতকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে। পরে সেলুনের মালিক বাবা-ছেলেকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে উত্তেজিত লোকজন। এই ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে থানার সামনে জড়ো হতে থাকে মুসল্লিরা। এ সময় উত্তেজিত জনতা থানা ঘেরাও করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। পরে যৌথবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরনবী মিয়া বলেন, 'আটক দুজন এর আগেও ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ শুক্রবার একই কাজ তারা আবার করেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।'

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ