Risingbd:
2025-06-23@16:23:27 GMT

সাবেক সিইসি ৪ দিনের রিমান্ডে

Published: 23rd, June 2025 GMT

সাবেক সিইসি ৪ দিনের রিমান্ডে

প্রহসনের নির্বাচনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৩ জুন) ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার সাব-ইন্সপেক্টর শামসুজ্জোহা সরকার তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। নূরুল হুদার পক্ষে মো.

তৌহিদুল ইসলাম সজিব রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতত তার ৪ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ২৪ জনকে আসামি করে রোববার শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহউদ্দিন খান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলা হওয়ার পর জনতা রবিবার সন্ধ্যায় উত্তরার বাসা থেকে আটক করে সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে। পরে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, কেএম নূরুল হুদা ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।কিন্তু তিনি এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে সম্পন্ন করতে পারেননি এবং দেশকে গভীর সংকটের মধ্যে নিমজ্জিত করেছেন। প্রশাসনকে একটি পক্ষে ব্যবহার করেছে, যাতে সংবিধান অমান্য হয়েছে এবং শপথ ঠিক রাখতে পারেননি। দণ্ডবিধি আইনের ১৭১ক ধারা মতে নির্বাচনের ছদ্মবেশ ধারণ করে দিনের ভোট রাতে সম্পাদন করতে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বাধ্য করে নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন।তিনি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সরকারি আদেশ, সাংবিধানিক ক্ষমতা হ্রাস, দেশের জনগণের ভোটাধিকার লঙ্ঘন করেছেন।

আরো বলা হয়, নূরুল হুদা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণকে তাদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেন। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপকর্ম ও তার সহযোগীদের শনাক্ত করতে তাকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
 

ঢাকা/এম/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

কানাডার কাছে সিসি ক্যামেরাসহ জাতীয় নির্বাচনের জন্য অর্থসহায়তা চেয়েছে জামায়াত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরাসহ নির্বাচনের আনুষঙ্গিক খরচ মেটাতে কানাডাসহ উন্নয়ন অংশীদার রাষ্ট্রগুলোর কাছে আর্থিক অনুদানের আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ আনুষঙ্গিক কাজের খরচের দায়িত্ব সরকারের। সেই হিসাবে সরকারকে সহযোগিতার জন্যই কানাডার কাছে এই আবেদন জামায়াতের।

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকায় কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং দলটির আমির শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক করেন। সেখানে কানাডাকে এ আহ্বান জানায় জামায়াত।

বৈঠক শেষে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের সাংবাদিকদের জানান, ‘সিসি ক্যামেরাসহ নির্বাচনের আনুষঙ্গিক খরচ মেটাতে মোটা অঙ্কের বাজেট দরকার। এ ব্যাপারে আমরা কানাডাসহ উন্নয়ন অংশীদার বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর কাছে আর্থিক অনুদানের আহ্বান জানিয়েছি। (কানাডার) হাইকমিশনার আর্থিক অনুদানের বিষয়টি জাতিসংঘের মাধ্যমে সমন্বয় করার ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।’

আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘কানাডিয়ান হাইকমিশনার ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের বিষয়ে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। তাদের জানিয়েছি, জামায়াতে ইসলামীসহ দেশের উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক দলগুলো যৌথভাবে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে একাধিকবার সংলাপে বসেছি।’

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সেগুলো কানাডার হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে বলে জানান মো. তাহের। যেমন একই ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দুইবারের বেশি না রাখা, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট, নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে তাতে প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্তকরণ, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন ইত্যাদি।

ইতিমধ্যে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো বেশ কয়েকটি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। তবে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বিষয়ে এখনো ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি বলে হাইকমিশনারকে জানিয়েছেন জামায়াতের নায়েবে আমির। তিনি বলেন, ‘আমরা হাইকমিশনারকে জানিয়েছি, যদি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বিষয়গুলোতে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে গণভোট অনুষ্ঠানের জন্য আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে পরামর্শ দিয়েছি। সরকারকে বলেছি, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা দরকার। আর কেউ যাতে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে না পারে, সে বিষয়ে আমাদের কনসার্ন অন্তর্বর্তী সরকারকে জানিয়েছি।’

মো. তাহের বলেন, কানাডা বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারিগরিসহ সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার হবে বলে বৈঠকে আশা করা হয়।

বৈঠকে কানাডার হাইকমিশনারের সঙ্গে সিনিয়র পলিটিক্যাল অফিসার সিওভান কের আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে জামায়াত আমিরের সঙ্গে ছিলেন দলের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও এহসানুল মাহবুব জুবায়েরসহ কয়েকজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ