Risingbd:
2025-11-03@23:31:15 GMT

সাবেক সিইসি ৪ দিনের রিমান্ডে

Published: 23rd, June 2025 GMT

সাবেক সিইসি ৪ দিনের রিমান্ডে

প্রহসনের নির্বাচনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৩ জুন) ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার সাব-ইন্সপেক্টর শামসুজ্জোহা সরকার তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। নূরুল হুদার পক্ষে মো.

তৌহিদুল ইসলাম সজিব রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতত তার ৪ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ২৪ জনকে আসামি করে রোববার শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহউদ্দিন খান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলা হওয়ার পর জনতা রবিবার সন্ধ্যায় উত্তরার বাসা থেকে আটক করে সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে। পরে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, কেএম নূরুল হুদা ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।কিন্তু তিনি এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে সম্পন্ন করতে পারেননি এবং দেশকে গভীর সংকটের মধ্যে নিমজ্জিত করেছেন। প্রশাসনকে একটি পক্ষে ব্যবহার করেছে, যাতে সংবিধান অমান্য হয়েছে এবং শপথ ঠিক রাখতে পারেননি। দণ্ডবিধি আইনের ১৭১ক ধারা মতে নির্বাচনের ছদ্মবেশ ধারণ করে দিনের ভোট রাতে সম্পাদন করতে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বাধ্য করে নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন।তিনি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সরকারি আদেশ, সাংবিধানিক ক্ষমতা হ্রাস, দেশের জনগণের ভোটাধিকার লঙ্ঘন করেছেন।

আরো বলা হয়, নূরুল হুদা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণকে তাদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেন। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপকর্ম ও তার সহযোগীদের শনাক্ত করতে তাকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
 

ঢাকা/এম/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ