গত বছর মঙ্গল গ্রহে মাকড়সার জালের মতো দেখতে বেশ রহস্যময় একটি অঞ্চলের সন্ধান পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। মঙ্গল গ্রহে থাকা মাকড়সার জালটি আসলে একধরনের স্ফটিকযুক্ত খনিজের কাঠামো। সম্প্রতি মঙ্গল গ্রহে মাকড়সার জালের মতো দেখতে রহস্যময় অঞ্চলের ছবি তুলেছে নাসার কিউরিওসিটি রোভার।

নাসা জানিয়েছে, মঙ্গল গ্রহের আকর্ষণীয় ভূতাত্ত্বিক কাঠামোটি মাকড়সার জাল বা মৌচাকের মতো। রোভারের মাস্ট ক্যামেরা দিয়ে তোলা ৩৬০ ডিগ্রি ফরম্যাটের তোলা ছবিটি বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে যে এমন অদ্ভুত কাঠামো খনিজ পদার্থের কারণে গঠিত হয়েছে। কোটি কোটি বছর আগে মঙ্গল গ্রহের ভূগর্ভস্থ পানির কারণে শিলাক্ষয়ের ফলে এই কাঠামো তৈরি হয়েছে।

নাসার তথ্যমতে, পানির মধ্যে থাকা বিভিন্ন খনিজ পদার্থ পাথরের ভেতরে জমে সিমেন্টের মতো শক্ত হয়ে গেছে। এরপর বাতাসের কারণে ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়ে মাকড়সার মতো কাঠামো তৈরি করেছে। কিউরিওসিটি রোভার বর্তমানে ‘গেল ক্রেটার’ নামের বিশাল খাদের রহস্য উন্মোচনে কাজ করছে।

মঙ্গল গ্রহে কিউরিওসিটির রোভার অবতরণ করে ২০১২ সালে। তখন থেকেই মঙ্গল গ্রহের পরিবেশ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছে রোভারটি। বর্তমানে রোভারটি মঙ্গল গ্রহে থাকা বক্সওয়ার্ক প্যাটার্ন নামের শক্ত নিচু শৈলশিরা বিশ্লেষণ করছে।

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মেটা কানেক্ট সম্মেলনে ভিআর ও এআর পণ্যে ৬ চমক

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কে অবস্থিত মেটার সদর দপ্তরে আয়োজিত বার্ষিক কানেক্ট সম্মেলনের প্রথম দিনে নতুন একাধিক প্রযুক্তি ও পণ্য আনার ঘোষণা দিয়েছে মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। সম্মেলনে বহুল আলোচিত রেব্যান স্মার্ট চশমার হালনাগাদ সংস্করণ উন্মোচনের পাশাপাশি ডিসপ্লে যুক্ত স্মার্ট চশমা, অ্যাথলেটদের জন্য বিশেষ চশমা, ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) ও অগমেন্টেড রিয়েলিটিতে (এআর) বাস্তব পরিবেশ রূপান্তরের নতুন সুবিধা যুক্তের ঘোষণা দেন তিনি। সম্মেলনের উল্লেখযোগ্য ছয়টি ঘোষণা জেনে নেওয়া যাক।

মেটা রেব্যান ডিসপ্লে

সম্পর্কিত নিবন্ধ