বর্ষাকাল মানেই ঝরঝর বৃষ্টির ধারা। তবে এ বছর বৃষ্টি শুরু হয়েছে বেশ আগেভাগেই। কখনও কি ভেবে দেখেছেন প্রতি বছর এত যে বৃষ্টি হয় তা আমরা কীভাবে কাজে লাগাতে পারি। দৈনন্দিন কাজে খুবই সহায়ক হতে পারে এই পানি। বাগানে পানি দেওয়া থেকে শুরু করে পরিষ্কার করা, রান্না করা, কাপড় ধোয়া ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করতে পারেন। যদি একটু চেষ্টা করে সংক্ষণ করতে পারেন তাহলে সারাবছরই এই পানি নানা কাজে ব্যবহার করতে পারেন।
পানীয় এবং রান্নার জন্য
বৃষ্টির জল খুবই বিশুদ্ধ, তবে সরাসরি খাওয়া যাবে না। সঠিকভাবে ফিল্টার করে এটি পানীয় এবং রান্নার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। ছাদের পানি জমিয়ে ফুটিয়ে বা ফিল্টার করে ব্যবহার করুন।
গোসল এবং কাপড় ধোয়ার জন্য
গোসল এবং কাপড় ধোয়ার কাজে বৃষ্টির পানি ব্যবহার করলে পানির বিল কমে যাবে।
গাছপালা এবং বাগানের জন্য
বৃষ্টির পানি গাছের জন্য আশীর্বাদ। সরাসরি আপনার বাগানে ঢেলে দিন অথবা পানির ক্যান দিয়ে গাছে দিন। এতে আপনার ঘরের গাছপালা সবুজ এবং সতেজ থাকবে।পোষা প্রাণী এবং পাখির জন্য
আপনার পোষা কুকুর বা বিড়ালকে বৃষ্টির পানি খাওয়াতে পারেন। পোষা প্রাণীর জন্য পানীয় জলের জন্য এটি ব্যবহার করুন। এছাড়াও, পাখির জন্য পানি ভর্তি একটি পাত্র রাখুন।
পানির ট্যাঙ্ক
যদি বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করা হয়, তাহলে তা ঘরের পানির ট্যাঙ্কে ভরে গোসল, বাসন ধোয়া এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
মেঝে পরিষ্কারের জন্য
ঘরের মেঝে পরিষ্কার করার জন্য বৃষ্টির পানি ব্যবহার করতে পারেন। এই পানি সহজেই শক্ত দাগ এবং ময়লা দূর করতে পারে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর র জন য ব র করত
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’