পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে আসা হৃৎস্পন্দনের মতো সংকেত শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা
Published: 27th, June 2025 GMT
সম্প্রতি আফ্রিকা অঞ্চলে পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে আসা হৃৎস্পন্দনের মতো সংকেত শনাক্ত করেছেন যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের ধারণা, পৃথিবীর টেকটোনিক প্লেটের গভীর আবরণ থেকে উত্তপ্ত পদার্থের ঊর্ধ্বমুখী প্রবাহের কারণে এই সংকেত তৈরি হতে পারে।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ইথিওপিয়ার আফার অঞ্চলের গভীরে যেখানে তিনটি টেকটোনিক প্লেট মিলিত হয়েছে, সেখানে এই সংকেত পাওয়া গেছে। পৃথিবীর পৃষ্ঠের অভ্যন্তরে থাকা ম্যাগমা ভূত্বককে নিচে থেকে আঘাত করায় এই সংকেত তৈরি হতে পারে। এই ধাক্কার কারণে ধীরে ধীরে মহাদেশ ভাগ হয়ে যাচ্ছে। একটি নতুন মহাসাগর তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ সায়েন্সের অধ্যাপক টম গারনন বলেন, রাসায়নিক সংকেত থেকে হৃৎস্পন্দনের মতো স্পন্দন শোনা যায়। স্পন্দনের মাত্রা থেকে বোঝা যাচ্ছে কোন স্পন্দন কত শক্তিশালী।
সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী এমা ওয়াটস বলেন, ‘আমরা দেখেছি আফার এলাকার নিচের আবরণটি স্থির নয়। এখানকার স্পন্দন স্বতন্ত্র রাসায়নিক স্বাক্ষর বহন করে। আংশিকভাবে গলিত আবরণের ভেতরের এই ঊর্ধ্বমুখী স্পন্দন ওপরের ফাটলে প্রভাব তৈরি করে। পৃথিবীর অভ্যন্তর ও পৃষ্ঠের মধ্যে মিথস্ক্রিয়ার জন্য এই স্পন্দন গুরুত্বপূর্ণ।
বিজ্ঞানীরা আফার অঞ্চল ও মেইন ইথিওপিয়ান রিফ্ট জুড়ে ১৩০টির বেশি আগ্নেয়গিরির শিলার নমুনা সংগ্রহ করার পাশাপাশি ভূত্বক ও আবরণের গঠন থেকে নতুন এক মডেল তৈরি করেছেন। বিজ্ঞানীদের ধারণা, পৃথিবীর পৃষ্ঠে স্পন্দনের প্রভাবে আফ্রিকা মহাদেশটি বিভক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি নতুন সমুদ্র অববাহিকা তৈরি হচ্ছে। এর ফলে ভবিষ্যতে আফ্রিকায় নতুন মহাসাগর তৈরি হতে পারে।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে আসা হৃৎস্পন্দনের মতো সংকেত শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা
সম্প্রতি আফ্রিকা অঞ্চলে পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে আসা হৃৎস্পন্দনের মতো সংকেত শনাক্ত করেছেন যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের ধারণা, পৃথিবীর টেকটোনিক প্লেটের গভীর আবরণ থেকে উত্তপ্ত পদার্থের ঊর্ধ্বমুখী প্রবাহের কারণে এই সংকেত তৈরি হতে পারে।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ইথিওপিয়ার আফার অঞ্চলের গভীরে যেখানে তিনটি টেকটোনিক প্লেট মিলিত হয়েছে, সেখানে এই সংকেত পাওয়া গেছে। পৃথিবীর পৃষ্ঠের অভ্যন্তরে থাকা ম্যাগমা ভূত্বককে নিচে থেকে আঘাত করায় এই সংকেত তৈরি হতে পারে। এই ধাক্কার কারণে ধীরে ধীরে মহাদেশ ভাগ হয়ে যাচ্ছে। একটি নতুন মহাসাগর তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ সায়েন্সের অধ্যাপক টম গারনন বলেন, রাসায়নিক সংকেত থেকে হৃৎস্পন্দনের মতো স্পন্দন শোনা যায়। স্পন্দনের মাত্রা থেকে বোঝা যাচ্ছে কোন স্পন্দন কত শক্তিশালী।
সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী এমা ওয়াটস বলেন, ‘আমরা দেখেছি আফার এলাকার নিচের আবরণটি স্থির নয়। এখানকার স্পন্দন স্বতন্ত্র রাসায়নিক স্বাক্ষর বহন করে। আংশিকভাবে গলিত আবরণের ভেতরের এই ঊর্ধ্বমুখী স্পন্দন ওপরের ফাটলে প্রভাব তৈরি করে। পৃথিবীর অভ্যন্তর ও পৃষ্ঠের মধ্যে মিথস্ক্রিয়ার জন্য এই স্পন্দন গুরুত্বপূর্ণ।
বিজ্ঞানীরা আফার অঞ্চল ও মেইন ইথিওপিয়ান রিফ্ট জুড়ে ১৩০টির বেশি আগ্নেয়গিরির শিলার নমুনা সংগ্রহ করার পাশাপাশি ভূত্বক ও আবরণের গঠন থেকে নতুন এক মডেল তৈরি করেছেন। বিজ্ঞানীদের ধারণা, পৃথিবীর পৃষ্ঠে স্পন্দনের প্রভাবে আফ্রিকা মহাদেশটি বিভক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি নতুন সমুদ্র অববাহিকা তৈরি হচ্ছে। এর ফলে ভবিষ্যতে আফ্রিকায় নতুন মহাসাগর তৈরি হতে পারে।
সূত্র: এনডিটিভি