গাজীপুরে পার্লারের আড়ালে ইয়াবার কারবার, নারী গ্রেপ্তার
Published: 28th, June 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় একটি বিউটি পার্লারের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসা ইয়াবার পাইকারি কারবারের চক্রের সন্ধান মিলেছে। শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই পার্লারের মালিক সুরাইয়া আক্তারকে ৪৫০ পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ।  
শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারিক। তিনি জানান, সুরাইয়ার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ জিরো টলারেন্সে রয়েছে। এ ধরনের অপরাধে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
পুলিশ জানায়, সুরাইয়া তার স্বামীর বাড়ি শ্রীপুর পৌরসভার ১নং সিএনবি বাজার এলাকার বাসায় বসে পার্লারের ব্যবসার পাশাপাশি মাদক সরবরাহ করতেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে তার বসতঘর থেকে ৪৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সুরাইয়া স্বীকার করেছেন, এসব ইয়াবা তিনি কক্সবাজার থেকে সংগ্রহ করে বিমানে করে শ্রীপুরে নিয়ে এসেছেন।
আরো পড়ুন:
কুমিল্লায় এক বছরে ১১ কোটি টাকার মাদক জব্দ
নানা সঙ্কটে ধুঁকছে চাঁপাই মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর
সুরাইয়া মূলত ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার শিলাসী গ্রামের বাসিন্দা। বিয়ের পর থেকে শ্রীপুরে পার্লার পরিচালনার আড়ালে ইয়াবার পাইকারি কারবারি চালিয়ে আসছিলেন বলে পুলিশ ধারণা করছে। এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত কি না—তা জানার জন্য তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। 
   
ঢাকা/রফিক/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিভাগীয় কর্মকর্তাকে নিতে ৫ কিমি দূর থেকে ফিরে এলো ট্রেন
বিভাগীয় কর্মকর্তাকে নিতে ছেড়ে যাওয়া ট্রেন ঠাকুরগাঁও রোড স্টেশনে ফিরে আসে। আচমকা ট্রেন ফিরিয়ে আনার পর ‘নরমাল ট্রেন’ বলে সেই ট্রেনে যাত্রা করতে অস্বীকৃতি জানান সেই কর্মকর্তা। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন যাত্রীরা। যাত্রীদের রোষাণলে পড়ে অবশেষে সেই ট্রেনেই যাত্রা করতে বাধ্য হয় এই রেল কর্মকর্তা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও রোড রেল স্টেশনে এমন ঘটনা ঘটে। ট্রেনটি পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে পার্বতীপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছিল। ঘটনায় জড়িত কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা আলম লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে আছেন।
ট্রেনের যাত্রী আমাজ হোসেন জানান, বিকেল ৪.২৬ মিনিটে ঠাকুরগাঁও রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় পার্বতীপুরগামী কাঞ্চন সেমি আন্তঃনগর ট্রেনটি। প্রায় ৫ কিলোমিটার যাওয়ার পর হঠাৎ ট্রেনটি পিছনদিকে ফিরে যেতে থাকে। এ ঘটনায় ট্রেনের ভিতরে থাকা যাত্রীদের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে ট্রেনটি ঠাকুরগাঁও রোড রেল স্টেশনে ফিরে এলে যাত্রীরা জানতে পারেন এক বিভাগীয় কর্মকর্তা ট্রেনে যাত্রা করার উদ্দেশ্যে ট্রেনটি ফিরিয়ে এনেছেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে যাত্রীরা।
তবে ট্রেন ফিরিয়ে আনার পরে সেই ট্রেনে যাত্রা করতে অস্বীকৃতি জানান ওই কর্মকর্তা। এতে আরো ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন ট্রেনের যাত্রীরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্টেশন এলাকাজুড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। যাত্রীরা বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে জনসাধারণের রোষাণলে পরে ট্রেনে উঠতে বাধ্য হন ওই রেল কর্মকর্তা।
ঠাকুরগাঁও রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাষ্টার মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ঠাকুরগাঁও রেল স্টেশন পরিদর্শনে আসেন লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আবু হেনা মোস্তফা আলম। ঠাকুরগাঁও থেকে তার দিনাজপুরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে আগে থেকে সে বিষয়ে আমাদেরকে জানাননি। লালমনিরহাট অফিসের নির্দেশে ট্রেনটি আবারো স্টেশনে ফিরে আসে। ফিরিয়ে আনার পরে লোকাল ট্রেন হওয়ায় তার ট্রেনটি পছন্দ হয়নি। তাই তিনি পরবর্তী ট্রেনে যাত্রা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যাত্রীদের ক্ষোভের কারণে তিনি সেই ট্রেনেই যাত্রা করেন।”
এই বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আবু হেনা মোস্তফা আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঢাকা/হিমেল/এস