বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। গতকাল শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকে উঠেছে এমন তথ্য। এদিন বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক সম্পর্ক নিয়ে এক বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে দেশটির পররাষ্ট্রবিষয়ক স্থায়ী কমিটি।

বৈঠক শেষে কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেস এমপি শশী থারুর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। অনুপ্রবেশসংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কমিটির হাতে আসা তথ্যে বোঝা যাচ্ছে, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের সংখ্যা কমেছে। তবে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে নয়াদিল্লির সুসম্পর্কে খানিকটা টানাপোড়েন রয়েছে এই মুহূর্তে।

শশী থারুর জানান, সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। তবে সবকিছুর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের বিষয়টি। বাংলাদেশের সঙ্গে সর্বোচ্চ সীমান্ত এলাকা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের। সে কারণে কেন্দ্র বারবার দাবি করে, ওদিক দিয়েই সবচেয়ে বেশি অনুপ্রবেশ ঘটে। সড়কপথে সীমান্ত পেরিয়ে বহু বাংলাদেশি পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নেন।

শুক্রবারের ওই বৈঠকে ছিলেন ভারতের সাবেক  জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশংকর মেনন, বাংলাদেশে কর্মরত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল সইদ আটা হাসনাইন ও শিক্ষাবিদ অমিতাভ মাট্টু। তাদের সঙ্গে কথা বলে শশী থারুর জানান, অনুপ্রবেশ রুখতে খুব ভালো পরামর্শ এবং মতামত দিয়েছেন তারা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কম ট র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ