Prothomalo:
2025-06-30@08:57:00 GMT

বিসিবি, তুমি পারছ কি শুনতে

Published: 30th, June 2025 GMT

‘১০-১২ বার রং নাম্বার পেরিয়ে তোমাকে পেয়েছি...হ্যালো, এটা কি ০১৭১...? বিসিবি তুমি পারছ কি শুনতে?’

আধুনিক বাংলা গানের শিল্পী অঞ্জন দত্ত তাঁর বেলা বোস গানটিতে বেলার সঙ্গে কথা বলার আকুলতা প্রকাশ করেছিলেন এভাবে—‘এটা কি ২৪৪১১৩৯, বেলা বোস তুমি পারছ কি শুনতে, ১০-১২ বার রং নাম্বার পেরিয়ে তোমাকে পেয়েছি, দেব না কিছুতেই আর হারাতে।’

গানটির প্রেমিক চরিত্রটি বেলা বোসের টেলিফোন নম্বরটা জানত। সেই নম্বরে ফোন করে নিজের কথা যে বলবে, সে সুযোগ অবশ্য তার হয়নি। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে কোনো শব্দই যে ভেসে আসেনি। প্রেমিক বারবার অনুরোধ করেছিল, বেলাকে ডেকে দিতে। তার সেই অনুরোধ প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে এসেছে নিজের কানে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা তো দেশের ক্রিকেট-অভিভাবকদের মোবাইল নম্বরই জানেন না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একটা ওয়েবসাইট আছে বটে, সেখানে নেই কোনো ঠিকানা বা ফোন নম্বর; যে মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলাটির প্রেমিকেরা নিজেদের মনের কথা, আনন্দ ও কষ্টের গল্প, প্রাপ্তির হর্ষ বা অপ্রাপ্তির বিষাদ নিয়ে একটু প্রাণখোলা লেনদেন করতে পারবেন!

তা প্রেমিকার বাড়ির ঠিকানা বা ফোন নম্বর হয়তো প্রেমিকার অভিভাবকেরা (বোর্ড সভাপতি আর তাঁর গণ্যমান্য ব্যক্তিরা) ইচ্ছা করেই গোপন করে রেখেছেন! ‘দুষ্টু প্রেমিক’কে কোন অভিভাবকই–বা ‘প্রেমিকার’ সঙ্গে সাক্ষাৎ বা যোগাযোগের সুযোগ দেন! তাকে যত দূরে রাখা যায়, ততই মঙ্গল।

টেস্ট নামের বিশ্ববিদ্যালয়ে ওঠার আগে যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাটটা শক্তভাবে রপ্ত করা দরকার, সেটাই তো পাওয়া হয় না বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের! এখানকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক (ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের কাঠামো) যে বড্ড নড়বড়ে। এ শুধু থাকার জন্যই থাকা। নামমাত্র চলা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে যে বিদ্যা আমাদের ক্রিকেটাররা পান, তা আর যা–ই হোক, বিশ্ববিদ্যালয়ে (টেস্ট) পরীক্ষা দেওয়ার মতো শক্তি ও সাহস জোগাতে পারে না! এ কারণেই তো ক্রিকেটের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে গিয়ে এমন খাবি খায় আমাদের ক্রিকেট-সন্তানেরা!

কিন্তু দুষ্টু প্রেমিকের হাত থেকে সন্তানকে রক্ষা করতে গিয়ে কোনো অভিভাবক কি তাঁর সন্তানকে অশিক্ষিত বা বকলম বানিয়ে রাখবেন, রাখবেন অসুন্দর করে! রাখতেও পারেন, মেয়ে বেশি শিক্ষিত আর সুন্দরী হলে যদি কারও নজর লাগে! কেউ যদি ভালোবেসে পাগলপাড়া হয়ে যায়। তখন সেই ‘পাগল’ ঠেকাবেন কী করে অভিভাবক!

এ কারণেই কি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) দেশের ক্রিকেটকে এত অবহেলা করছে, বেড়ে উঠতে দিচ্ছে না অনিন্দ্যসুন্দর হয়ে! টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি—সর্ববিদ্যায় বিদুষী হয়ে! আর না হলে বছরের পর বছর ধরে দেশের ক্রিকেট কাঠামো এতটা দুর্বল করে রাখবে কেন বিসিবি। সন্তানকে বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাও মানে ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত ও বড় সংস্করণ টেস্ট খেল; অথচ এ বিদ্যার প্রাথমিক শিক্ষা সেভাবে দিল কোথায় তাকে!

কলম্বো টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হয়ে ফিরছেন নাজমুল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বব দ য

এছাড়াও পড়ুন:

পলাতক ২৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ট্রাইব্যুনালের

জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের আবু সাঈদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে এই মামলার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি পলাতক হাসিবুরসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইবুনাল-২ আজ সোমবার এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ১০ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে সকালে এই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্টার কার্যালয়ে দাখিল করা হয়। অভিযোগে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টরসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন আবু সাঈদ হত্যার সঙ্গে তৎকালীন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারসহ ৩০ জনের সম্পৃক্ততা মিলেছে বলে জানা গেছে।

গত ২৪ জুন তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। একই সঙ্গে আবু সাঈদকে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র প্রসিকিউশনে জমা দেওয়া হয়েছে।

এ মামলায় চার আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন- রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী।

গতবছর ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ