Prothomalo:
2025-11-03@23:12:22 GMT

বিসিবি, তুমি পারছ কি শুনতে

Published: 30th, June 2025 GMT

‘১০-১২ বার রং নাম্বার পেরিয়ে তোমাকে পেয়েছি...হ্যালো, এটা কি ০১৭১...? বিসিবি তুমি পারছ কি শুনতে?’

আধুনিক বাংলা গানের শিল্পী অঞ্জন দত্ত তাঁর বেলা বোস গানটিতে বেলার সঙ্গে কথা বলার আকুলতা প্রকাশ করেছিলেন এভাবে—‘এটা কি ২৪৪১১৩৯, বেলা বোস তুমি পারছ কি শুনতে, ১০-১২ বার রং নাম্বার পেরিয়ে তোমাকে পেয়েছি, দেব না কিছুতেই আর হারাতে।’

গানটির প্রেমিক চরিত্রটি বেলা বোসের টেলিফোন নম্বরটা জানত। সেই নম্বরে ফোন করে নিজের কথা যে বলবে, সে সুযোগ অবশ্য তার হয়নি। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে কোনো শব্দই যে ভেসে আসেনি। প্রেমিক বারবার অনুরোধ করেছিল, বেলাকে ডেকে দিতে। তার সেই অনুরোধ প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে এসেছে নিজের কানে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা তো দেশের ক্রিকেট-অভিভাবকদের মোবাইল নম্বরই জানেন না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একটা ওয়েবসাইট আছে বটে, সেখানে নেই কোনো ঠিকানা বা ফোন নম্বর; যে মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলাটির প্রেমিকেরা নিজেদের মনের কথা, আনন্দ ও কষ্টের গল্প, প্রাপ্তির হর্ষ বা অপ্রাপ্তির বিষাদ নিয়ে একটু প্রাণখোলা লেনদেন করতে পারবেন!

তা প্রেমিকার বাড়ির ঠিকানা বা ফোন নম্বর হয়তো প্রেমিকার অভিভাবকেরা (বোর্ড সভাপতি আর তাঁর গণ্যমান্য ব্যক্তিরা) ইচ্ছা করেই গোপন করে রেখেছেন! ‘দুষ্টু প্রেমিক’কে কোন অভিভাবকই–বা ‘প্রেমিকার’ সঙ্গে সাক্ষাৎ বা যোগাযোগের সুযোগ দেন! তাকে যত দূরে রাখা যায়, ততই মঙ্গল।

টেস্ট নামের বিশ্ববিদ্যালয়ে ওঠার আগে যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাটটা শক্তভাবে রপ্ত করা দরকার, সেটাই তো পাওয়া হয় না বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের! এখানকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক (ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের কাঠামো) যে বড্ড নড়বড়ে। এ শুধু থাকার জন্যই থাকা। নামমাত্র চলা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে যে বিদ্যা আমাদের ক্রিকেটাররা পান, তা আর যা–ই হোক, বিশ্ববিদ্যালয়ে (টেস্ট) পরীক্ষা দেওয়ার মতো শক্তি ও সাহস জোগাতে পারে না! এ কারণেই তো ক্রিকেটের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে গিয়ে এমন খাবি খায় আমাদের ক্রিকেট-সন্তানেরা!

কিন্তু দুষ্টু প্রেমিকের হাত থেকে সন্তানকে রক্ষা করতে গিয়ে কোনো অভিভাবক কি তাঁর সন্তানকে অশিক্ষিত বা বকলম বানিয়ে রাখবেন, রাখবেন অসুন্দর করে! রাখতেও পারেন, মেয়ে বেশি শিক্ষিত আর সুন্দরী হলে যদি কারও নজর লাগে! কেউ যদি ভালোবেসে পাগলপাড়া হয়ে যায়। তখন সেই ‘পাগল’ ঠেকাবেন কী করে অভিভাবক!

এ কারণেই কি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) দেশের ক্রিকেটকে এত অবহেলা করছে, বেড়ে উঠতে দিচ্ছে না অনিন্দ্যসুন্দর হয়ে! টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি—সর্ববিদ্যায় বিদুষী হয়ে! আর না হলে বছরের পর বছর ধরে দেশের ক্রিকেট কাঠামো এতটা দুর্বল করে রাখবে কেন বিসিবি। সন্তানকে বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাও মানে ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত ও বড় সংস্করণ টেস্ট খেল; অথচ এ বিদ্যার প্রাথমিক শিক্ষা সেভাবে দিল কোথায় তাকে!

কলম্বো টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হয়ে ফিরছেন নাজমুল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বব দ য

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ