‘গোলাপ’-এ ফুটবে পরী-নিরবের প্রথম প্রেম!
Published: 2nd, July 2025 GMT
ঢাকাই সিনেমার অন্যতম চিত্রনায়ক নিরব হোসেন প্রথমবারের মতো জুটি বাঁধছেন বর্তমান সময়ের আলোচিত ও জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণির সঙ্গে। পরিচালক সামছুল হুদার পরিচালনায় নির্মিত হতে যাচ্ছে এই যুগলকে নিয়ে নতুন সিনেমা ‘গোলাপ’।
সিনেমাটির প্রথম লুক প্রকাশের পরই দর্শকমহলে বেশ সাড়া পড়ে যায়। সেই উত্তেজনার ধারাবাহিকতায় চলছে প্রস্তুতি।
নিরব বলেন, “গোলাপ সিনেমা দিয়ে পরীমণির সঙ্গে প্রথমবার পর্দায় আসছি। সবচেয়ে বড় বিষয়—সিনেমার গল্পটি অসাধারণ। ফার্স্টলুক প্রকাশের পর দর্শকের ভালোবাসা দেখে আমরা উৎসাহিত হয়েছি। এখন নিয়মিত স্ক্রিপ্ট নিয়ে বসছি, আলোচনা করছি—কীভাবে ভালো একটি কাজ উপহার দেওয়া যায়, সবার মধ্যেই সেই ভাবনা কাজ করছে।”
পরিচালক সামছুল হুদা জানান, “গল্পটি বাস্তবভিত্তিক আবেগের সঙ্গে জড়ানো। নিরব-পরীমণিকে ভিন্ন এক রূপে তুলে ধরার চেষ্টা করছি আমরা।”
অন্যদিকে, নিরব বর্তমানে ‘শিরোনাম’-এর শেষ ধাপের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত। সেই কাজ শেষ করেই ‘গোলাপ’-এর শুটিংয়ে যুক্ত হবেন তিনি।
পরীমণি ও নিরব—দুজনেই এই সময়ের আলোচিত মুখ। তাদের রসায়ন কেমন হয় পর্দায়, সেটিই এখন দেখার বিষয়। নির্মাতার আশা, ‘গোলাপ’ হবে ২০২৫ সালের একটি আলোচিত সিনেমা।
ঢাকা/রাহাত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুনে রেমিট্যান্স এসেছে ২৮২ কোটি ডলার
২০২৪–২৫ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ২৮২ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে এসেছে। আগের অর্থবছরের একই মাসে এসেছিল ২৫৪ কোটি ডলার। গত জুনে বেড়েছে প্রায় ২৮ কোটি ডলার বা ১১ শতাংশ। সব মিলিয়ে গত অর্থবছর প্রথমবারের মতো প্রবাসী আয় ৩০ বিলয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়েছে। রেমিট্যান্সে উচ্চ প্রবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে জুন শেষে গ্রস ৩১ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪–২৫ অর্থবছর বৈধ চ্যানেলে মোট ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩৩ কোটি ডলার দেশে এসেছে। আগের অর্থবছর এসেছিল ২ হাজার ৩৯১ কোটি ডলার। এর মানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৬৪১ কোটি ডলার বা ২৬ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। এর আগে করোনার প্রকোপ শুরুর পর ২০২০–২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার দেশে এসেছিল।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে হুন্ডি চাহিদা কমেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবার এবং তার ঘনিষ্ঠ ১০ ব্যবসায়ী–রাজনৈতিকের অনিয়ম–দুর্নীতির বিষয়ে ১১টি যৌথ তদন্ত দল কাজ করছে। এরই মধ্যে ব্রিটেনে কিছু সম্পদ জব্দ হয়েছে। এসব কারণে চাপের মুখে রয়েছে পাচারকারীরা। যে কারণে প্রবাসী আয়ের বড় অংশই এখন বৈধ চ্যানেলে দেশে আসছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি জুন মাসের এ রেমিট্যান্স একক মাস হিসেবে তৃতীয় সর্বোচ্চ। এখন পর্যন্ত এক মাসে সর্বোচ্চ ৩৩০ কোটি ডলার এসেছে, গত মার্চ মাসে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৭ কোটি ডলার এসেছিল, গত মে মাসে। ঈদের কারণে গত মাসের প্রথম দিকে টানা ১০দিন বন্ধ থাকার পরও এভাবে রেমিট্যান্স বেড়েছে।
রেমিট্যান্সে উচ্চ প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি রপ্তানি আয়ে ৯ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আবার বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ পেয়েছে সরকার। সব মিলিয়ে জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ৩১ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। গত ২৮ মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। সবশেষ ২০২৩ সালের মার্চের শুরুতে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছিল। এরপর ওই মাসের ১৫ তারিখ সর্বোচ্চ ৩১ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার হয়। এছাড়া সব সময়ই এখনকার চেয়ে রিজার্ভ কম ছিল।
আইএমএফের ঋণ কর্মসূচি চালুর পর থেকে ইডিএফসহ বিভিন্ন তহবিলে যোগন দেওয়া ঋণসহ গ্রস রিজার্ভের হিসাব করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর বিভিন্ন তহবিলে যোগন দেওয়া ঋণ বাদ দিয়ে আইএমএফের বিপিএম৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী হিসাব প্রকাশ করা হয়। বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ পতনের পর যা ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০২১ সালের আগস্টে। অর্থপাচার ব্যাপক বেড়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে তা তলানিতে নেমে যায়।