ফতুল্লায় আবির ফ্যাশনে অসন্তোষের ঘটনায় মামলা
Published: 2nd, July 2025 GMT
ফতুল্লায় রপ্তানীমুখী পোষাক কারখানা আবির ফ্যাশনে অসন্তোষের ঘটনায় ১১০জন শ্রমিকের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।
এরপর ১৩ চুক্তিতে মালিক ও শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান করেছে জেলা প্রশাসন। এতে বুধবার সকাল থেকে মালিকপক্ষ লে-অফ ঘোষনা প্রত্যাহার করে কারখানা খুলে দিয়েছে।
জানাযায়, ২০৫ জন শ্রমিক নিয়ে যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিলো সেই শ্রমিকদের মধ্যে থেকে ২০ জনকে কর্ম থেকে বিরত রাখার বিষয়টি চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও কারখানায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে ও শান্ত পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়টিও চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে।
এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শলিফুল ইসলাম জানান, কুতুবআইল এলাকায় অবস্থিত আবির ফ্যাশনে নানা দাবী দাওয়া নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়।
এতে মালিকপক্ষ ২০৫জন শ্রমিককে ছাটাই করার ঘোষনা দিলে শ্রমিকরা ফুসে উঠে আবির ফ্যাশনসহ আশপাশের আরো একাধীক কারখানায় ভাংচুর চালায়।
এঘটনায় কারখানার এ্যাডমিন ম্যানেজার নাজমুল হাসান বাদী হয়ে ১১০ জনের নাম উল্লেখ করে আরো শতাধীক অজ্ঞাত আসামী করে ভাংচুর ও চুরি অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
বিষয়টি জেলা প্রশাসন সমাধান করে দিয়েছেন। এতে মালিক শ্রমিক উভয় পক্ষ সন্তুষ্ট।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ র ম ন টস অসন ত ষ উল ল খ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’