ফতুল্লায় রপ্তানীমুখী পোষাক কারখানা আবির ফ্যাশনে অসন্তোষের ঘটনায় ১১০জন শ্রমিকের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।

এরপর ১৩ চুক্তিতে মালিক ও শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান করেছে জেলা প্রশাসন। এতে বুধবার সকাল থেকে মালিকপক্ষ লে-অফ ঘোষনা প্রত্যাহার করে কারখানা খুলে দিয়েছে।

জানাযায়, ২০৫ জন শ্রমিক নিয়ে যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিলো সেই শ্রমিকদের মধ্যে থেকে ২০ জনকে কর্ম থেকে বিরত রাখার বিষয়টি চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও কারখানায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে ও শান্ত পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়টিও চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে।

এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শলিফুল ইসলাম জানান, কুতুবআইল এলাকায় অবস্থিত আবির ফ্যাশনে নানা দাবী দাওয়া নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়।

এতে মালিকপক্ষ ২০৫জন শ্রমিককে ছাটাই করার ঘোষনা দিলে শ্রমিকরা ফুসে উঠে আবির ফ্যাশনসহ আশপাশের আরো একাধীক কারখানায় ভাংচুর চালায়।

এঘটনায় কারখানার এ্যাডমিন ম্যানেজার নাজমুল হাসান বাদী হয়ে ১১০ জনের নাম উল্লেখ করে আরো শতাধীক অজ্ঞাত আসামী করে ভাংচুর ও চুরি অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

বিষয়টি জেলা প্রশাসন সমাধান করে দিয়েছেন। এতে মালিক শ্রমিক উভয় পক্ষ সন্তুষ্ট।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ র ম ন টস অসন ত ষ উল ল খ

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্র-জনতার ভয়ে ডোবায় ঝাঁপ সাবেক মেয়রের, পুলিশে সোপর্দ

যশোরের কেশবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন ছাত্র-জনতা। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে পৌর শহরের ভবানীপুর এলাকায় একটি বাড়িতে ঘেরাও করেন ছাত্র-জনতা। পরে থানা ছাত্র-জনতার ভয়ে পালাতে গিয়ে একটি ডোবাতে ঝাঁপ দেন তিনি। পরে স্থানীয়রা ধরে মারধরের চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। একটি বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, গতবছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রফিকুল ইসলাম তার ভবানীপুর মোড়লপাড়ার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। বুধবার দুপুরের দিকে তার বাড়িটি স্থানীয় ছাত্র-জনতা ঘিরে ফেলেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে রফিকুল ইসলাম ওই এলাকার আরিফুর রহমান মিলনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে ছাত্র-জনতার ভয়ে পালাতে একটি ডোবায় ঝাঁপ দেন রফিকুল। পুলিশ জানতে পেরে রফিকুলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে নাশকতা, চাঁদাবাজিসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে কেশবপুরে ত্রাস সৃষ্টি করতেন জামাল বাহিনী। সেই জামাল বাহিনীর পরিচালনা করতেন সাবেক মেয়র রফিকুল। একটি বিস্ফোরক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ