হলি আর্টিজানের ঘটনার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্য নিয়ে যা জানাল ডিএমপি
Published: 2nd, July 2025 GMT
মঙ্গলবার বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলার (১ জুলাই ২০১৬) ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে ঊদ্ধৃত করে প্রকাশিত সংবাদে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
বুধবার (২ জুলাই) বিকেলে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, ওই সন্ত্রাসী হামলা এবং এর ফলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি নিঃসন্দেহে খুবই বেদনাদায়ক ও মর্মান্তিক। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ওই ঘটনায় নিহত দেশি-বিদেশি সবার আত্মার শান্তি কামনা ও তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।
ওই ঘটনার নবম বর্ষপূর্তি নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে ডিএমপি কমিশনারের খণ্ডিত বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার তার বক্তব্যে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে পুলিশের চ্যালেঞ্জগুলো ও পূর্বাপর সরকারের সময়ে কিছু অনিয়মের কথা তুলে ধরেছেন। তথাপি, অনেকে বিষয়টি খণ্ডিতভাবে উপস্থাপন করেছেন, যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত বলে জানিয়েছে ডিএমপি।
আরো পড়ুন:
‘উপজেলায় এখন কী কাজ’ বলেই সাবেক মেয়রের ছেলেকে মারধর
হবিগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ২
উল্লেখ্য, হলি আর্টিজানের ঘটনাটি একটি সন্ত্রাসী হামলা ছিল এবং যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ইতোমধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া, ভবিষ্যতে এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তৎপর রয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বিশ্বাস করে বর্ণিত বিষয়ে অহেতুক ভুল বুঝাবুঝির কোনো অবকাশ নেই।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এমপ ঘটন র
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে বইমেলায় বিক্রি কম, এখনো আশায় আছেন প্রকাশকেরা
রাজশাহী বিভাগীয় বইমেলার প্রথম তিন দিনে লোকজনের ভিড় থাকলেও বেচাকেনা তেমন হয়নি। এতে অনেক প্রকাশকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তবে আগামী কয়েক দিনে বেচাকেনা বাড়বে বলে আশা করছেন প্রকাশকেরা ও আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
গত শুক্রবার রাজশাহী জেলা কালেক্টরেট মাঠে ৯ দিনব্যাপী এই বইমেলার উদ্বোধন করা হয়। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায়, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে এবং রাজশাহী বিভাগীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এ মেলা চলবে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। মেলায় ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৭০টি বেসরকারি প্রকাশনাসহ মোট ৮১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে মেলা চলছে বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। আর ছুটির দিনে মেলা শুরু হয় বেলা ১১টায়।
উদ্বোধনের আগের দিন বৃষ্টিতে মেলার মাঠ কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। সেই কর্দমাক্ত পরিবেশেই মেলার উদ্বোধন হয়। দর্শনার্থীদের ভোগান্তি কমাতে পরে প্রতিটি স্টলের সামনে ইট বিছিয়ে দেওয়া হয়। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও বিক্রির খরা কাটেনি বলে জানালেন বিক্রেতারা।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের বিভিন্ন অংশে তখনো পানি জমে আছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত মঞ্চের সামনের প্যান্ডেলেও কাদা। সেখানেই কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ও সাহিত্য নিয়ে আলোচনা চলছিল, তবে দর্শক-শ্রোতার উপস্থিতি ছিল নগণ্য। স্টলের সামনে ইটের সলিংয়ের তৈরি রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন অনেকে। অনেকে বই দেখছেন।
সূর্যোদয় প্রকাশনীর বিক্রেতা রিপন আলী বলেন, প্রথম দিন তো কাদাপানির মধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। তখনো মানুষ ছিলেন। এখন ইট বিছানোর পর আরও বেশি মানুষ আসছেন, ভিড়ও করছেন, কিন্তু বই কিনছেন খুব কম।
ঐতিহ্য প্রকাশনীর স্টলে কাদার ওপর চেয়ার পেতে বসে থাকতে দেখা গেল বিক্রয়কর্মী ও চিত্রশিল্পী অর্ণব পাল সন্তুকে। তিনি বলেন, মানুষ আসছেন, ঘুরে দেখছেন, কিন্তু বিক্রি নেই বললেই চলে। মেলার ব্যবস্থাপনা আরও ভালো হতে পারত। আরেক বিক্রেতা আবদুল্লাহ হীল বাকি জানালেন, এমনও স্টল আছে, যেখানে সারা দিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকার বইও বিক্রি হচ্ছে না।
তবে হতাশার ভিড়ে আশার কথাও শোনালেন কেউ কেউ। চট্টগ্রাম থেকে আসা নন্দন বইঘর প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী সুব্রত কান্তি চৌধুরী বলেন, বেচাবিক্রি আজ না হোক কাল হবে। মানুষ যে মেলায় এসে বই হাতে নিয়ে দেখছেন, এটাই বড় পাওয়া। এতে তাঁদের মধ্যে বই কেনার আগ্রহ তৈরি হবে।
মেলায় আসা পাঠকদের মধ্যে অবশ্য ভিন্ন চিত্র। দুই সন্তানের জন্য শিশুতোষ বই কিনে এক অভিভাবক বলেন, বাচ্চাদের হাতে বই তুলে দেওয়ার আনন্দটাই অন্য রকম।
মেলা থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও তারাশঙ্কর বন্দ্যোপ্যাধ্যায়ের বই কিনেছেন মনির হোসেন। তিনি বলেন, মেলায় একসঙ্গে অনেক বই পাওয়া যায়, যা বই কেনার জন্য দারুণ সুযোগ।