বিদ্যালয়ের পাশে কীটনাশক স্প্রে, ৭ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে
Published: 2nd, July 2025 GMT
যশোরের অভয়নগর উপজেলার সীমান্তবর্তী নড়াইল সদর উপজেলার চাকই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জানালার পাশে কীটনাশক স্প্রের ঘটনায় সাত শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বুধবার (২ জুলাই ) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।
অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলো—চাকই গ্রামের শাহিনুল ইসলামের মেয়ে সাওদা ইসলাম (১২), শেখ সেলিম মেয়ে সাদিয়া ইসলাম (১১), ওহিদুর রহমান মেয়ে সানজিদা খাতুন রত্না (১৩), মাহফুজ শেখের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার মোহনা (১১), গাজী আলাউদ্দিনের মেয়ে উম্মে আইমান (১০), বিপ্লব শেখের মেয়ে রাখা খাতুন (৮) ও এফএম কামরুজ্জামানের মেয়ে ফারিয়া জামান (৯)।
চাকই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রুকসান তাসনিম বলেন, ‘‘বুধবার দুপুরে স্কুলের পাশে কুমড়া খেতে কীটনাশক স্প্রে করছিলেন বক্কর শেখের ছেলে ইসমাইল শেখ। এ সময় বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমের জানালা খোলা ছিল। স্প্রে করা কীটনাশক শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পড়লে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। কয়েকজন বমি ও অজ্ঞান হয়ে পড়ে। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।’’
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা.
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা উল্লাসিনী রায় বলেন, ‘‘আমি ছুটিতে ছিলাম। স্কুলের এক শিক্ষিকা ফোন দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’
এ বিষয়ে জানতে ইসমাইল শেখের মোবাইলে কল দিলেও ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ঢাকা/প্রিয়ব্রত/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে গভীর রাতে অস্ত্রের মুখে ৭ জনকে জিম্মি করে সোনার দোকানে ডাকাতি
যশোরের অভয়নগর উপজেলার একটি সোনার দোকানে ডাকাতি হয়েছে। গতকাল রোববার গভীর রাতে মশিয়াহাটী বাজারের সৌখিন জুয়েলার্সে এ ঘটনা ঘটে।
দোকানটির মালিক গৌতম কর্মকার (৫০)। তিনি মনিরামপুর উপজেলার কুলটিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
গৌতম কর্মকার জানান, গতকাল রাত ১০টার দিকে তিনি দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যান। গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনে একটি কল আসে। অপর প্রান্ত থেকে তাঁকে জানানো হয়, তাঁর সোনার দোকানে ডাকাতি হচ্ছে। কিন্তু ভয়ে তিনি রাতে বাড়ি থেকে বের হননি। আজ সকালে দোকানটিতে গিয়ে তিনি ডাকাতির আলামত দেখতে পান।
গৌতম কর্মকারের দাবি, তাঁর দোকানের লকারে প্রায় ২ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও ২৪ ভরি ওজনের রুপার গয়না ছিল। এগুলোর বাজারমূল্য চার লাখ টাকার বেশি। ডাকাত দলটি এগুলোর সব লুট করেছে।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গতকাল রাত ২টার দিকে ১০ থেকে ১২ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল মশিয়াহাটী বাজারে আসে। তাদের সবার মুখ কাপড়ে দিয়ে বাঁধা ছিল। একপর্যায়ে অস্ত্রের মুখে একজন নারীসহ বাজারের অন্তত সাতজনকে দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে এবং মুখে টেপ লাগিয়ে ফেলে রাখে। এরপর সৌখিন জুয়েলার্সের কলাপসিবল গেটের একটি পাশ এবং শাটারের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে লকারের তালা ভেঙে সোনা ও রুপার গয়না নিয়ে যায় তারা। ভোর চারটা পর্যন্ত সেখানে ডাকাতি হয়। এ সময় শব্দ শুনে ঘর থেকে বের হন স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ বিশ্বাস (৬০) ও তাঁর স্ত্রী প্রতিমা বিশ্বাস (৫৫)। ডাকাতেরা অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে প্রতিমা বিশ্বাসের গলার একটি সোনার হার নিয়ে যায়।
মশিয়াহাটী বাজারের পাশে সুজাতপুর গ্রাম। ওই গ্রামের কৌশিক দাস (১৬) জানায়, গতকাল রাতে ঘুম আসছিল না। রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে হেঁটে বাজারের দিকে যাচ্ছিল। বাজারে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ডাকাতেরা তাকে ধরে ফেলে। এরপর তার দুই হাত দড়ি দিয়ে পেছনে বেঁধে মুখে চওড়া স্কচটেপ লাগিয়ে দেয়।
কৌশিক দাস বলে, ‘ডাকাত দল চলে যাওয়ার পর ভোর চারটার দিকে আমি কৌশলে হাতের বাঁধন খুলে ফেলি। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যদের হাত ও মুখের স্কচটেপ খুলে দিয়েছি।’
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম রবিউল ইসলাম, বিষয়টি চুরি না ডাকাতি, তা তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।