চলতি মাসে ৫টি তাপপ্রবাহ ও ৩টি নিম্নচাপের আভাস
Published: 3rd, July 2025 GMT
চলতি জুলাই মাসে দেশের আবহাওয়ায় থাকছে বৈচিত্র্য। একদিকে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত যেমন থাকবে, অন্যদিকে দেশের কোথাও কোথাও বয়ে যেতে পারে মৃদু তাপপ্রবাহ। এ মাসে ৫টি তাপপ্রবাহ ও ৩টি নিম্নচাপের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া জুলাই মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতি মাসের শুরুতে আবহাওয়া অধিদপ্তর মাসব্যাপী আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়। এ মাসের পূর্বাভাসটি দেওয়া হয় বুধবার (২ জুলাই)।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, জুলাই মাসে বঙ্গোপসাগরে ৪ থেকে ৬টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, এর মধ্যে এক থেকে তিনটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। নেই বন্যার কোনো আশঙ্কা।
এছাড়া, দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঁচ থেকে ছয় দিন বিজলি চমকানো বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।
অধিদপ্তরের পরিচালক মো.
এছাড়া, জুলাইয়ের প্রথমার্ধে মৌসুমি বৃষ্টির প্রভাবে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানির স্তর সামগ্রিকভাবে বাড়তে পারে। দ্বিতীয়ার্ধে নদ-নদীতে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজ করতে পারে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, জুনে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে (-১৯.৩) কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঢাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে বৃষ্টি কম হয়েছে প্রায় ৩৩ শতাংশ।
ঢাকা/হাসান/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’