‘তাজিয়া মিছিল ঘিরে থাকবে কঠোর নিরাপত্তা বলয়’
Published: 3rd, July 2025 GMT
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত তাজিয়া মিছিলকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মো. সারওয়ার।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে পুরান ঢাকার হোসেনি দালান পরিদর্শন শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই তথ্য জানান।
ভারপ্রাপ্ত কমিশনার বলেন, “তাজিয়া মিছিলের সামনে, মধ্যে এবং পেছনে পুলিশের স্পেশাল ফোর্স মোতায়েন থাকবে। একইসঙ্গে মিছিলের এলাকাভিত্তিক ফুটপাতের দোকানপাট অপসারণ করা হবে।”
তিনি আরো জানান, ঢাকা শহরে যতগুলো শিয়া ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তার সবগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং এলাকাভিত্তিক চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
ডিএমপির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার বলেন, “নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডগ স্কোয়াড দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নিবিড় নজরদারি চালানো হচ্ছে। জঙ্গি ও অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রতিও সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।”
মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের জন্য কিছু নির্দেশনাও দেন মো.
এ সময় ডিএমপির অ্যাডিশনাল কমিশনার (ক্রাইম) নজরুল ইসলাম আশ্বস্ত করে বলেন, “আশুরার তাজিয়া মিছিল নিয়ে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
ঢাকা/এমআর/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দাবি মেনে নেওয়ায় অনশন ভাঙলেন জবি শিক্ষার্থীরা
দাবি মেনে নেওয়ায় ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজ্জাম্মুল হক ও অন্যান্য শিক্ষকরা আন্দোলনকারীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙান। গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে দুপুর থেকে রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেছিলেন।
আরো পড়ুন:
যবিপ্রবিসাসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
জানুয়ারি থেকে বিশেষ বৃত্তি পাবেন জবি শিক্ষার্থীরা
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি কার্যকর হওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা; জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ; ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তুকি দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে আধুনিক সুবিধা ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু।
অনশনকারী বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন, “আমাদের দাবি ছিল বৃত্তি প্রদানের নির্দিষ্ট তারিখ, জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা এবং লাইব্রেরিতে সুবিধা বৃদ্ধি। প্রশাসন এগুলো মেনে নিয়েছে। কিছুটা ধোঁয়াশা থাকলেও আমরা আস্থা রেখে অনশন ভেঙেছি।”
বাগছাসের মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ বলেন, “আমাদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবিগুলো মেনে নিয়ে স্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা আশা করি, প্রশাসন প্রতিশ্রুতিগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করবে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন স্বপ্নের দুয়ার উন্মোচিত হবে।”
অনশনকারী শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এমকেএম রাকিব বলেন, “প্রশাসন আমাদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে, এতে আমরা সন্তুষ্ট। আশা করি, শিক্ষার্থীরা দ্রুতই তাদের কাঙ্ক্ষিত বৃত্তি পাবে এবং অন্যান্য ক্যাম্পাসের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও নির্বাচনের আমেজ তৈরি হবে।”
অনশনে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই দশক পর এবারই প্রথমবারের মতো জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হলো।
ঢাকা/লিমন/ইভা